হাতি বেরিয়ে গিয়েছিল। ছোট্ট লেজটিই বিব্রত করল প্রোটিয়াদের। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে বাগে পেয়েও অজিদের চেপে ধরার সুযোগ ফের হাতছাড়া করল দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে টার্গেট নাগালের মধ্যে থাকলেও প্রোটিয়াদের টেস্টের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে হলে কাঠখড় পোড়াতে হবে বিস্তর।
লর্ডসে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে টস-ভাগ্য সঙ্গ দেয় দক্ষিণ আফ্রিকার। অজিদের শুরুতে ব্যাট করতে বাধ্য করে তারা। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস মাত্র ২১২ রানে গুটিয়ে দিয়েও ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে নিতে ব্যর্থ হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। কেননা পালটা ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় মাত্র ১৩৮ রানে। অর্থাৎ, প্রথম ইনিংসের নিরিখে প্রোটিয়ারাই পিছিয়ে পড়ে ৭৪ রানের বড়সড় ব্যবধানে।
তা সত্ত্বেও দ্বিতীয় ইনিংসে ম্যাচে ফেরার সুযোগ তৈরি করে দক্ষিণ আফ্রিকা। একসময় মাত্র ৭৩ রানে অস্ট্রেলিয়ার সাতজন ব্যাটারকে সাজঘরে ফেরান কাগিসো রাবাদারা। তবে সেখান থেকে অস্ট্রেলিয়া তাদের দ্বিতীয় ইনিংস টেনে নিয়ে যায় ২০৭ রানে। অর্থাৎ, প্রথম ইনিংসের লিড মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে থাকে ২৮১ রানে। জিততে হলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে শেষ ইনিংসে তুলতে হবে ২৮২ রান, যা এই পিচ ও পরিস্থিতিতে সহজ হবে না মোটেও।
লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরি মিচেল স্টার্কের
দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার টপ মিডল অর্ডারে ধস নামান প্রোটিয়া বোলাররা। তবে সস্তায় লেজ ছাঁটতে না পারার মাশুল দিতে হয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। নয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে অজি পেসার মিচেল স্টার্ক ৫৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। স্টার্কই অস্ট্রেলিয়াকে ম্যাচে ফেরান বলা চলে।
এছাড়া ৪৩ রান করেন উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারি। ১১ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ১৭ রানের মূল্যবান যোগদান রাখেন জোশ হেজেলউড। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া কাগিসো রাবাদা দ্বিতীয় ইনিংসে ৪টি উইকেট তুলে নেন। অর্থাৎ, ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট ৯টি উইকেট নেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩টি উইকেট সংগ্রহ করেন লুঙ্গি এনগিদি। ১টি করে উইকেট সংগ্রহ করেন মারকো জানসেন, উইয়ান মাল্ডার ও এডেন মার্করাম।