২০১৭ সালে ঠিক একই রকম ঘটনায় আম্পায়াররা আউট দিয়েছিলেন ব্যাটারকে। আইসিসির নিয়ম কী বলছে?
মিডল স্টাম্প ছিটকে গেলেও অক্ষত বেল। ছবি- টুইটার।
ক্রিকেটের ময়দানে বিরল ঘটনা সন্দেহ নেই। মিডল স্টাম্প ছিটকে গেলেও কার্যত শূন্যে ভেসে রইল বেল। ফলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের চর্চা শুরু হয়ে যায় যে, ব্যাটার এক্ষেত্রে আউট নাকি নট-আউট ঘোষিত হবেন।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, নিয়ম মতো আম্পায়ার এক্ষেত্রে ব্যাটারকে নট-আউট ঘোষণা করেন। মেলবোর্নের ক্লাব ক্রিকেটে ঘটে এমনই অবাক করা ঘটনা। মিডল স্টাম্পের সঙ্গে দুটি বেলের কোনও সংযোগ ছিল না। মিডল স্টাম্প পুরোপুরি আলাদা হয়ে যায়। তা সত্ত্বেও বেল পড়েনি। ফলে জীবনদান পেয়ে যান ব্যাটার। এমন ভাগ্য যে সব ব্যাটারের হয় না, সেটা বলে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ কেউ আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন। কেননা ক্রিকেটের মাঠে স্টাম্পে বল লাগা সত্ত্বেও বেল না পড়ার ঘটনা ঘটে হামেশাই। সেক্ষেত্রে ব্যাটাকে আউট দেওয়া হয় না। আইসিসির নিয়মে আউট হওয়ার জন্য বেল পড়াটা জরুরি।
আবার অনেকে আম্পায়ারের সমালোচনা করছেন এই বলে যে, ম্যাচ অফিসিয়ালদের এটা নিশ্চিত করা উচিত ছিল, স্টাম্পের মাথায় বেল যেন শক্ত হয়ে আটকে না যায়। সেক্ষেত্রে এমন ঘটনা এড়ানো যেত।
আইসিসির নিয়মে অবশ্য স্পষ্ট বলা রয়েছে যে, বলের আঘাতে স্টাম্প নড়াচড়া করলেও বেল যদি অক্ষত থাকে, তাহলে স্টাম্প ভেঙেছে বলে ধরা হবে না। অবশ্য স্টাম্প পুরোপুরি উপড়ে গেলে সেক্ষেত্রে ব্যাটসম্যান আউট ঘোষিত হতে পারেন। মেলবোর্নের এই ঘটনার ক্ষেত্রে বেলও অক্ষত ছিল এবং মিডল স্টাম্প পুরোপুরি উপড়ে যায়নি। তাই ব্যাটসম্যান নট-আউট ঘোষিত হন।
ক্রিকেটের মাঠে এমন ঘটনা বিরল হলেও একেবারে নতুন নয়। ২০১৭ সালে ঠিক এমনই একটি ঘটনা ঘটে, যেখানে বেল অক্ষত থাকলেও ব্যাটসম্যানকে আউট ঘোষণা করা হয়। মিড-ইয়ার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ম্যাচে মুনি ভ্যালির হয়ে ব্যাট করছিলেন যতিন্দর সিং। খেলা ছিল স্ট্রেথমোর হাইটসের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে যতিন্দরের মিডল স্টাম্প ছিটকে গেলেও বেল অক্ষত থাকে। তবে যেহেতু স্টাম্প মাটি থেকে সম্পূর্ণভাবে উপড়ে গিয়েছিল, আম্পায়াররা আউট ঘোষণা করেন ব্যাটারকে।