ওকে নেওয়া উচিত ছিল… টেস্ট থেকে শ্রেয়স বাদ পড়তেই আগরকরদের নিশানা করলেন মহারাজ!

ভারতীয় ক্রিকেট দলে তো বটেই, কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়েও যখন অতীতে অজিত আগরকর খেলতেন, তখন তাঁর অধিনায়ক ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। দুই তারকার মধ্যে তাই অনেক ভালো স্মৃতি এখনও টাটকা রয়েছে। দুই তারকার মধ্যে সম্পর্কও যথেষ্টই মধুর। তবে আগরকরের সিদ্ধান্তে কিন্তু খুশি হতে পারেননি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সম্প্রতি ইংল্যান্ড সফরের জন্য ভারতীয় দলের নির্বাচক কমিটি যে স্কোয়াড ঘোষণা করেছে, তা মনে ধরেনি বিসিসিআইয়ের প্রাক্তন সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। এর স্কোয়াডে একটা নামের বাদ পড়াটা একদমই পছন্দ হয়নি মহারাজের। অজিত আগরকরের নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটি টেস্টে সুযোগ দেননি শ্রেয়স আইয়ারকে। ইংল্যান্ডে গেলেই যে তিনি একেবারে বিশাল কিছু করতেন, সেটা হয়ত নয়। কিন্তু যাদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের থেকে শ্রেয়সের অভিজ্ঞতা খুব একটা কম নয়। ঘরোয়া ক্রিকেট হোক বা ওডিআই, আইপিএল শ্রেয়স রানের মধ্যে ছিলেন। তাই তাঁকে ইংল্যান্ডে টেস্টে স্কোয়াডে রাখা উচিত ছিল বলেই মনে করছেন মহারাজ।শ্রেয়স আইয়ার ২০২৪ আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এবারে ৬০০র বেশি রান করে পঞ্জাব কিংসকে ফাইনালেও তুলেছিলেন। ফলে তাঁর ব্যাটিং এবং ক্যাপ্টেন্সির অভিজ্ঞতা ভারতীয় দলের কাজে লাগতেই পারত বিরাট কোহলি, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রোহিত শর্মাদের অনুপস্থিতিতে, মনে করছেন সৌরভ। বিভিন্ন রিপোর্টে দাবি করা হয় শ্রেয়সকে নিয়ে নাকি নির্বাচকদের বৈঠকে আলোচনাই হয়নি, কারণ নির্বাচক কমিটি ঠিক করেছিল যে শ্রেয়সকে আরও লাল বলের ক্রিকেট খেলতে হবে।এই নিয়েই এবার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলছেন, ‘গত ১ বছর ধরেই শ্রেয়স আইয়াক নিজের সেরা ফর্মে রয়েছে, আর ওর টেস্ট দলেও থাকা উচিত ছিল। ও দায়িত্ব নিয়ে খেলছে, শর্ট বলও ভালো খেলছে এখন। তাই ওকে যখন বাদ দেওয়া হয়েছিল, সেই শ্রেয়স আর এখনকার শ্রেয়স এক নয়। চাপের সময় মাথা ঠান্ডা রেখে খেলছে। টেস্ট ক্রিকেট হয়ত আলাদা, কিন্তু আমি ওকে দলে রাখতাম দেখার জন্য যে ও কি করে। ’।ইংল্যান্ডে যেখানে তিন সিনিয়র ক্রিকেটার নেই, শুভমন গিলের নেতৃত্বে নামবে ভারত। সেখানে কি আদৌ টিম ইন্ডিয়ার কোনও চান্স আছে সিরিজ জেতার? সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলছেন, ‘অবশ্যই আছে। দুটো জিনিস আমাদের দরকার, এক হচ্ছে ভালো ব্যাটিং, আর দ্বিতীয় জসপ্রীত বুমরাহ-র পিট থাকা। আমরা অস্ট্রেলিয়ায় ২০২০-২১ সালে অনভিজ্ঞ ব্যাটিং লাইন আপ নিয়েই জিতেছিলাম, রোহিত-বিরাট কেউ ছিল না। তাই আমি এই সিরিজেও না জেতার কোনও কারণ দেখছি না ’।