আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে একটিমাত্র টেস্ট ম্যাচের সিরিজ নিজেদের পকেটে তুলে নিল শ্রীলঙ্কা। সহজেই জিতল ধনঞ্জয় ডি সিলভা ও তাঁর বাহিনী। একটি নয়, দুটি নয়, পুরো দশ উইকেটে জয় পেল তারা। সৌজন্যে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ ও দীনেশ চান্দিমলের দুর্দান্ত ব্যাটিং এবং প্রভাত জয়সূর্যর বিধ্বংসী বোলিং। অন্যদিকে, এই হারের পর সাময়িক চাপে পড়লো আফগানিস্তান। রীতিমতো কমজোর ও ছন্দহীন দেখায় গোটা দলকে শ্রীলঙ্কার সামনে। দ্বিতীয় ইনিংসে আপ্রাণ চেষ্টা করা সত্ত্বেও শেষে ঘুরে দাঁড়াতে সফল হয়নি তারা। প্রথম দুটি পার্টনারশিপ বড় হলেও, তারপরই নামে ধ্বস। লাগাতার উইকেট পড়তে থাকায় ৩০০ রানেরও গণ্ডি ছুতে পারেনি তারা। ২ উইকেটে ২১৪ রান থেকে তাদের ইনিংস শেষ হয় ২৯৬ রানে।
সোমবার, অর্থাৎ ৫ ফেব্রুয়ারি ছিল চতুর্থ দিনের খেলা। এদিন ব্যাট করতে নামে আফগানিস্তানের দুই ব্যাটার। শুরুর দিকে শ্রীলঙ্কার বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে তারা প্রতিরোধ গড়লেও শেষ পর্যন্ত তা বড় রানে পরিবর্তন করতে পারেননি তারা। প্রথম দুটি পার্টনারশিপ ছাড়া, পরে কেউই তেমন দাগ কাটতে পারেনি। বলা যায় একপ্রকার ব্যাটিং ধ্বস নামে। দলের যখন দ্বিতীয় উইকেটটি পড়ে তখন স্কোরবোর্ডে রান ২১৪। এরপর বাকি ৮টি উইকেট পড়ে ৮২ রানের মধ্যে। ২৯৬ রানের শেষ হয়ে যায় আফগান বাহিনীর দ্বিতীয় ইনিংস। জয়ের জন্য শ্রীলঙ্কার সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৫৬ এবং সেটা তারা তুলে নেয় অষ্টম ওভার শেষ হওয়ার আগেই। দিমুথ করুণারত্নে অপরাজিত থাকেন ৩২ রানে এবং নিশান মাধুশঙ্কা ২২ রানে। ম্যাচের সেরা ঘোষণা করা হয় প্রভাত জয়সূর্যকে।
প্রসঙ্গত, ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রভাত জয়সূর্য দাবি করেন যে এই ম্যাচ জিতে তিনি এবং দলের সকলেই অত্যন্ত খুশি। এখানেই শেষ নয় তিনি আরো দাবি করেন যে পিচটি পুরোপুরি ব্যাটিং পিচ ছিল। জয়সূর্য বলেন, 'সত্যি বলতে গেলে আমি খুব খুশি এই ম্যাচ জিতে। শুধু আমি নয়, গোটা দলই এই ম্যাচ জিততে পেরে খুবই আনন্দ পেয়েছি। গত দুদিন আমাদের অবস্থা একেবারেই ভালো যাচ্ছিল না। তবে হ্যাঁ, আমি এখানে একটা কথা বলবো যে পিচ ব্যাটিংয়ের জন্য অত্যন্ত ভালো ছিল। আমরা নিজেদের মতো করেই খেলছিলাম। আমাদের স্লো বল করা দরকার ছিল এবং উইকেট থেকে আমরা গ্রীপও পেয়েছিলাম।'