কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে দুরন্ত অধিনায়কত্ব করলেন ঋষভ পন্ত। উইকেটের পিছন থেকে সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি লখনউ সুপার জায়ান্টকে পাওয়ারপ্লের মধ্যেই ভালো জায়গায় এনে দিলেন। কুইন্টন ডি কক আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলেন, সৌজন্যে পন্তের মাস্টারস্ট্রোক, নাহলে কেকেআরের ওপেনিং জুটি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিল।
আসলে তৃতীয় ওভারে আকাশ দীপের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন ঋষভ পন্ত। দ্বিতীয় বলটি খেলতে গিয়ে বিট হন কুইন্টন ডি কক, একটা হাল্কা আওয়াজ এসেছিল। তাই আম্পায়ার ক্যাচ আউট না দিলেও এরপর ঋষভ পন্ত ডিআরএস নেন, কিন্তু দেখা যায় কোনও স্পর্শ হয়নি ব্যাট এবং বলের মধ্যে। ফলে তাঁদের ডিআরএসটি নষ্ট হয়।
CSK-র হয়ে বোলিং করছেন নীরজ চোপড়া? ভাইরাল ছবি নিয়ে তুুমুল হাসাহাসি নেটপাড়ার
এরপর তৃতীয় বলেই ডি কক মিস করেন বল। সরাসরি বল লাগে প্যাডে। এরপরই আকাশ দীপ ফের আউটের আবেদন করলে আম্পায়ার LBW দেননি। যেহেতু আগের বলেই একটি রিভিউ নষ্ট হয়েছে, তাই অনেক অধিনায়ক হলেই রিভিউ নেওয়ার ক্ষেত্রে ৫বার ভাবতেন। অতিরিক্ত সতর্ক হয়ে রিভিউ বাঁচাতে গিয়ে হয়ত দলের বিপদই ডেকে আনতেন, যদিও পন্ত সেই কাজ করলেন না। তিনি ফের ডিআরএস নিলেন।
ব্যাক টু ব্যাক বলে পন্ত ডিআরএস নেওয়ার পর চোখ মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছিল তিনি বেশ চাপে রয়েছেন। খুবই সিরিয়াস লাগছিল তাঁকে, কারণ এই রিভিউটি নষ্ট হলে তাঁর দলের বড় ক্ষতি হতে পারত এবং তাঁর ক্যাপ্টেন্সি নিয়েই প্রশ্ন উঠে যেত। তবে সাহসীদের পক্ষেই ইশ্বর থাকে, এই কথাটি যেন ফের একবার প্রমাণিত হয়ে গেল।
রিভিউতে দেখা গেল বল লেগ স্টাম্পে পড়ার পর অফ স্টাম্পে এসে হিট করছে। অর্থাৎ পিচিং ইন লাইন, হিটিং দ্য উইকেট। আর সব মিলে যাওয়াতেই কুইন্টন ডি কক ফিরলেন সাজঘরে। ৯ বলে ১৫ রান করে দঃ আফ্রিকার এই ব্যাটার আউট হলেন, আকাশ দীপ উইকেট পেলেন। তবে এর পিছনে মূল অবদানই কিন্তু রইল অধিনায়ক পন্তের সঠিক এবং সাহসী সিদ্ধান্তের। প্রসঙ্গত আজকে কেকেআর বনাম লখনউ সুপার জায়ান্টের এই ম্যাচ দেখতে ইডেন গার্ডেন্সে হাজির ছিলেন ৪৫,৬৪৯ জন দর্শক।