শুধু রঞ্জি ট্রফিতেই নয়, বরং তিন ফর্ম্য়াটের কোনও ক্রিকেট টুর্নামেন্টেই আগে যা কখনও করে দেখাতে পারেনি ত্রিপুরা, ক্যাপ্টেন ঋদ্ধিমান সাহার হাত ধরে তেমনই অসাধ্যসাধন করল তারা। ছেলেদের ক্রিকেটে প্রথমবার শক্তিশালী গুজরাটকে হারিয়ে দিল ত্রিপুরা।
আমদাবাদে রঞ্জির এলিট-সি গ্রুপের ম্যাচে গুজরাটের বিরুদ্ধে মাঠে নামে ত্রিপুরা। অ্যাওয়ে ম্যাচের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৪৬ রানে অল-আউট হওয়া সত্ত্বেও সরাসরি ম্যাচ জিতে ৬ পয়েন্ট ঘরে তোলেন ঋদ্ধিরা।
টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ত্রিপুরা চূড়ান্ত ব্যাটিং বির্যয়ের মুখে পড়ে। তবে শক্ত হাতে ডুবতে থাকা নৌকার হাল ধরে বসে থাকেন ক্যাপ্টেন ঋদ্ধি। একক লড়াইয়ে তিনি প্রথম ইনিংসে দলকে দেড়শো রানের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেন। ৫টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৬২ বলে ৫৯ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন সাহা। গুজরাটের আর্জান নাগওয়াসওয়ালা ও সিদ্ধার্থ দেশাই প্রথম ইনিংসে ৪টি করে উইকেট তুলে নেন। ১টি উইকেট নেন চিন্তন গাজা।
পালটা ব্যাট করতে নেমে গুজরাট তাদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় ১৭২ রানে। ক্ষিতীজ প্য়াটেল ৪৬ ও সানপ্রীতসিং ৪২ রান করেন। ত্রিপুরার পারভেজ সুলতান একাই ৭টি উইকেট দখল করেন। ২টি উইকেট নেন মণিশঙ্কর মুরাসিং। অর্থাৎ, প্রথম ইনিংসের নিরিখে ২৬ রানের লিড নেয় গুজরাট।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ত্রিপুরা ৩৪৩ রান তোলে। বিক্রমকুমার দাস ৮২, মণিশঙ্কর মুরাসিং ৭২, শঙ্কর পাল ৬০ ও সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ৪৬ রান করেন। ঋদ্ধি দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন। গুজরাটের সিদ্ধার্থ দেশাই দ্বিতীয় ইনিংসে ৬টি উইকেট নেন।
প্রথম ইনিংসের লিড বাদ দিয়ে জয়ের জন্য গুজরাটের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৩১৮ রানের। তবে তারা শেষ ইনিংসে মাত্র ১৬১ রানে অল-আউট হয়ে হয়ে যায়। অর্থাৎ, ১৫৬ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ জেতে ত্রিপুরা। সিদ্ধার্থ দেশাই ৪৭, উমঙ্গ কুমার ৩৭ ও হেত প্যাটেল ৩০ রান করেন।
ত্রিপুরার হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩টি করে উইকেট নেন পারভেজ সুলতান ও শ্রীদাম পাল। ২টি উইকেট নেন শঙ্কর পাল। মণিশঙ্কর মুরাসিং নেন ১টি উইকেট। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১০টি উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হন পারভেজ। উল্লেখ্য, সব ফর্ম্যাট মিলিয়ে বিসিসিআয়ের ঘরোয়া ক্রিকেটে এই নিয়ে সাতবারের প্রচেষ্টায় গুজরাটকে প্রথমবার হারাতে সক্ষম হয় ত্রিপুরা।