দঃ আফ্রিকার মুখ থেকে WTC ট্রফিটা বোধহয় কেড়ে নিলেন অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক। বল হাতে দঃ আফ্রিকার দুই উইকেট নিয়েছিলেন। ব্যাট হাতে প্রথম ইনিংসে এসেছিল মাত্র ১ রান। কিন্তু দলের যখন সবচেয়ে বেশি দরকার, ঠিক সেই সময়ই জ্বলে উঠলেন অজিদের এই সুপারস্টার। বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বের সেরা টেলেন্ডার যে তিনিই, সেটাই মোক্ষম সময় বুঝিয়ে দিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। WTC ফাইনালে লর্ডসে দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর ১৩৬ বলে অপরাজিত ৫৮ রানের ইনিংসের সৌজন্যেই দঃ আফ্রিকার সামনে ২৮২ রানের টার্গেট খাড়া করল অস্ট্রেলিয়া। স্টার্ক যখন ব্যাট করতে নেমেছিলেন তখন অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ছিল ৭ উইকেটে ৭৩। সেখান থেকেই প্রোটিয়াদের বোলারদের কার্যত নাস্তানাবুদ অবস্থা করে দেন তিনি।
দঃ আফ্রিকাকে কার্য ম্যাচ থেকেও ছিটকে দেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। প্রথমে অ্যালেক্স ক্যারির সঙ্গে তিনি ৬১ রান যোগ করেন অষ্টম উইকেটে। এরপর জোশ হেজেলউডকে সঙ্গে নিয়েও অস্ট্রেলিয়াকে সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে দেন অজিদের এই পেসার অলরাউন্ডার। হেজেলউডের সঙ্গে স্টার্ক যোগ করেন শেষ উইকেটে ৫৯ রান। এটাই আইসিসির বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে শেষ উইকেটে সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ।
স্টার্কের ঝুলিতে এবার রয়েছে ৯ নম্বর বা তার পরে নেমে টেস্টে সব থেকে বেশি অর্ধশতরান। ৯ নম্বর বা তাঁর পরে নেমে স্টার্ক ৮টি অর্ধশতরান করেছেন। স্টুয়ার্ড ব্রড, ড্যানিয়েল ভেত্তোরি, কিরণ মোরে, টিম সাউদি, মাইকেল হোল্ডিংদের থেকে এই রেকর্ডে এগিয়ে রয়েছেন অজি তারকা। স্টুয়ার্ট ব্রডে পর স্টার্ক একমাত্র টেলেন্ডার, যার এক দেশে ৫টি অর্ধশতরান রয়েছে ৯ নম্বর বা তাঁর পরে ব্যাট করতে নেমে।
শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া ২০৭ রানে অলআউট হয়ে যায়, স্টার্ক অপরাজিত থাকেন ৫৮ রানে। অজিদের সর্বোচ্চ রান তাঁরই। কাজিসো রাবাদ তুলে নেন দ্বিতীয় ইনিংসে চার উইতেট। ম্যাচে মোট ৯ উইকেট নিলেন রাবাদা। প্রথম ইনিংসে ১৩৮ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ার পর এবার আইসিসির ট্রফির খরা কাটাতে গেলে প্রোটিয়াদের ২৮২ রান তাড়া করে জিততে হবে।