মঙ্গলবার, অর্থাৎ ৩০ জানুয়ারি বিপদে পড়েন চলতি রঞ্জি ট্রফিতে কর্ণাটক দলের অধিনায়ক তথা টিম ইন্ডিয়া তারকা টেস্ট ব্যাটার মায়াঙ্ক আগারওয়াল। আগরতলা থেকে দিল্লি যাওয়ার বিমানে উঠে একটি পানীয় খেয়ে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। গলা জ্বালা করার পাশাপাশি বমিও করেন এবং তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও কর্ণাটক রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি রঘুরাম ভাট পরে জানিয়েছিলেন যে কর্ণাটক অধিনায়ক এখন সুস্থ রয়েছে। এছাড়া, টেস্ট তারকার তরফ থেকেও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
তবে এবার এই ঘটনাকে নিয়ে ত্রিপুরা ক্রিকেট সংস্থার কার্যকরি সচিব বাসুদেব চক্রবর্তী মুখ খোলেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছেন যে জলের বোতলে এমন কিছু কিছু রাখা ছিল, যা পান করার পরই অস্বস্তি হয়। যদিও এই ঘটনার পর জানা গিয়েছে রেলওয়েজের বিরুদ্ধে খেলবেন না কর্ণাটক অধিনায়ক। তিনি এখনও ঠিক ভাবে কথাই বলতে পারছেন না। বেশ কিছুটা সময় লাগবে তাঁর। ফলে মায়াঙ্ক কবে ফের দলের সঙ্গে যোগ দেবেন তা নিয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।
বাসুদেব চক্রবর্তীর বক্তব্য, 'এই ঘটনা সম্পর্কে আমরা অনেককিছুই জানতে পেরেছি। মায়াঙ্ক আগারওয়াল আপাতত হাসপাতালে ভরতি। আমরা সেখানে নিজেদের প্রতিনিধি পাঠিয়েছি। তবে আমরা যেটা জানতে পারি যে, সেই মুহূর্তে সেই জলের বোতলে কিছু রাখা ছিল, যেটা ও খেয়ে নেয় এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে আমরা বুঝতে পারি অ্যাসিড জাতীয় কিছু একটা রাখা ছিল। বিমান সেবিকা, যিনি সেই মুহূর্তে দায়িত্বে ছিলেন, তিনি আবার সেটা রেখেও দেন। এই কারণেই ঘটনাটি ঘটে এবং ম্যানেজারের সঙ্গে মায়াঙ্ক আগরওয়ালও একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হন।'
পাশাপাশি, মায়াঙ্ক আগারওয়াল ওই মুহূর্তে কেমন ছিলেন, সেই প্রসঙ্গেও নিজের বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা ক্রিকেট সংস্থার কার্যকরি সচিব। বাসুদেব চক্রবর্তী বলেন, 'আমরা যখন হাসপাতাল পৌঁছই, তখন আমরা দেখি ওর অবস্থা খুবই শোচনীয়। ওর মুখ পুরো ফুলে গিয়েছিল এবং ও কথাই বলতে পারছিল না। যদিও সেই হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছিল যে মায়াঙ্ক একদিন কথা বলতে পারবে না। আমরাও যাবতীয় সবরকমের ব্যবস্থা নিয়েছি। একজনকে রাখা হয়েছে ত্রিপুরা ক্রিকেট সংস্থার তরফ থেকে এই ঘটনার দিকে নজর রাখার জন্য। এছাড়া কর্ণাটক দলের ম্যানেজার রয়েছেন ওর সঙ্গে। পুরো ব্যাপারটার উপরই আমাদের নজর রয়েছে। যতরকমের ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার, আমরা সব নেব।'