আইপিএলের চ্যাম্পিয়ন আরসিবি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিরাট কোহলির দিকেই সকলের নজর এসে পড়েছে। বিরাট কোহলি, রজত পতিদার, লিয়াম লিভিংস্টোন, ফিল সল্ট, জোশ হেজেলউড, এবারের আইপিএলে সবারই অবদান রয়েছে আরসিবির এই জয়ের পিছনে। গোটা মরশুম জুড়েই তাঁরা ভালো সার্ভিস দিয়ে গেছেন। কিন্তু তাঁরা যেহেতু তারকা তাই সব সময়ই লাইমলাইট তাঁদেরকে কেন্দ্র করেই থাকে। নেপথ্য কারিগরদের দিকে অতটাও আলো আসেনা।
আর এবারের আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু দলের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পিছনে বড় অবদানই রয়েছে ক্রুণাল পাণ্ডিয়ার। এমনিতে এবারের আইপিএলে বেশ কয়েকটা ম্যাচেই ভালো বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতে দলকে জিতিয়েছিলেন। আরসিবিকে তিনি যে নিজের সেরাটা নিংড়ে দিতে চেয়েছিলেন সেটা বোঝা গেছিল গোটা মরশুম জুড়েই। আর আইপিএলের ফাইনালে তিনি নিজের চার ওভারে ম্যাজিক দেখিয়ে ম্যাচের সেরার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন।
যারা মঙ্গলবার রাতের ম্যাচ দেখেছেন তাঁরা জানেন ৫.৭৫ কোটি টাকায় এবারের নিলামের টেবিল থেকে ক্রুণাল পাণ্ডিয়াকে আরসিবি দলে নিয়ে যে কোনও ভুল করেনি সেটাই তিনি চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন। ব্যাট হাতে তেমন কিছু করতে না পারলেও যখন পঞ্জাব কিংসের ওপেনার এবং মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা মারমুখী হয়ে উঠেছিলেন, তখন তাঁদের রানের গতি আটকে দেন ক্রুণালই।
নিজের চার ওভারের স্পেলে ১৭ রান দিয়ে ক্রুণাল তুলে নিয়েছিলেন ওপেনার প্রভসিমরন সিংয়ের উইকেট, যিনি এবারের আইপিএলে দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন। এছাড়াও তিনি আউট করেন অস্ট্রেলিয়ার মারকুটে ব্যাটার জোশ ইংলিশকে, এক্ষেত্রে বাউন্ডারি লাইনে লিভিংস্টোনের ক্যাচেরও প্রশংসা করতে হবে। তবে যে উইকেটে চাহাল তেমন কিছু করতে পারলেন না, সেখানেই কিন্তু বাঁহাতি ভেল্কিকে আরসিবির হয়ে আসল কাজের কাজটা করে দিলেন ক্রুণাল, যা দেখেই চোখে জল চলে এল তাঁর ভাই হার্দিক পাণ্ডিয়ার।
পাণ্ডিয়া পরিবারে এটি তাঁদের ৯ম ট্রফি। এর আগে ক্রুণালের ভাই হার্দিক মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে মোট চারবার ২০১৫, ২০১৭, ২০১৯ এবং ২০২০ সালে আইপিএল জিতেছেন। এছাড়াও গুজরাটের অধিনায়ক হিসেবে ২০২২ সালেও তিনি আইপিএল জেতেন। আর ক্রুণালও মুম্বইয়ের আইপিএলজয়ী ২০১৭, ২০১৯ এবং ২০২০ দলের সদস্য ছিলেন। আর বেঙ্গালুরুর এই ট্রফি নিয়ে পাণ্ডিয়া পরিবারেই ঢুকল নবম ট্রফি। যা দেখেই হার্দিক পাণ্ডিয়া লিখলেন, ‘ভাই আমার চোখে জল চলে আসছে এটা দেখে। তোর জন্য আমি গর্ববোধ করছি রে ’।
