আইপিএলে মঙ্গলবারের রাতটা ভুলতে চাইবে চেন্নাই সুপার কিংসের ক্রিকেটাররা। পঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে তাঁরা এর আগেও হেরেছে। প্লে অফে তাঁরা এর আগেও কোয়ালিফাই করতে পারেনি এমনও হয়েছে। তবে শেষ কবে টানা চার ম্যাচে হেরেছে সিএসকে, বা শেষ কবে চেন্নাইয়ের এত ক্রিকেটার একসঙ্গে গুচ্ছ গুচ্ছ ক্যাচ মিস করেছে, সেই নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
ধোনির পাশে দলের কোচ
এই ম্যাচে এবারের আইপিএলে প্রথমবার সিএসকের দুই ওপেনারই পাওয়ারপ্লের শেষ পর্যন্ত টিকে গেছিলেন। কিন্তু ওইটুকুই। টিকতে গিয়ে এত ধীরে তাঁরা ম্যাচ খেলেছেন, যে পরে ধোনি নেমে ১২ বলে ২৭ রান করেও ম্যাচ জেতাতে পারেননি। শিবম দুবেও ভালো ইনিংস খেলেছিলেন, তবে ততক্ষণে অনেকটা দেরি হয়ে গেছে, আর সবার স্ট্রাইক রেটই ছিল ধোনির থেকে কম।
ম্যাচ শেষে তাই হতাশ কোচ এরই মধ্যে থেকে ব্যাটিংয়ের কিছু ইতিবাচক দিক খুঁজে বললেন, ‘আমরা আগের থেকে একটু ভালো ব্যাটিং করেছি। আমরা রান তাড়া করার ভিত গড়েছিলাম ভালোভাবে, কিন্তু মিডল ওভারগুলোয় ঠিকঠাক রান তুলতে পারিনি। শেষের দিকে সেই রানটাই একটু বেশি হয়ে গেছিল, তবে ম্যাচে আমরাই বেশিক্ষণ ছিলাম, যেটা ভালো দিক’।
ফিল্ডারদের দোষারোপ করলেন ফ্লেমিং
প্রিয়াংশ অর্যর জোড়া ক্যাচ মিসের পর শশাঙ্ক সিংয়ের ক্যাচ মিসটাও চেন্নাইয়ের হারের অন্যতম কারণ বলা যায়। কারণ এক ম্যাচে এতগুলো ক্যাচ মিস সচরাচর সিএসকে করে না, আর তাঁরা ম্যাচও হারল ১৮ রানে। অর্থাৎ ক্যাচ ছাড়ার পর দুই ক্রিকেটার যত রান করেছেন, সেই তুলনায় অনেক কম রানে। ম্যাচ শেষে ফ্লেমিং বললেন, ‘খেলাটা আমরা ফিল্ডিংয়ের জন্যই হেরেছি। আমার মনে হয় খুবই অলস ফিল্ডিং করেছি আর দরকারের সময় নিখুঁত হয়ে উঠতে পারিনি। আমরা প্রিয়াংশের ভালো ইনিংসের জন্যই চাপে ছিলাম, কিন্তু আমাদের ওই পরিস্থিতিতে আরও ভালো করতে হত। কিন্তু ওখানেই আমাদের হাত থেকে খেলাটা বেরিয়ে গেছে ’।
টপ অর্ডারের ওপর দায় ঠেললেন ফ্লেমিং
তিনি আরও বলছেন, ‘আমরা মাত্র ১৮ রান দূরে ছিলাম। মানে তিনটে ছয়। যদি কোনও দলকে আইপিএল জিততে হয় তাহলে টপ অর্ডারের প্রথম তিন চারজন ব্যাটারকে রানের মধ্যে থাকতে হবে, কিন্তু আমরা সেটা করতে পারিনি। মিডল ওভারগুলোয় আমরা মোমেন্টাম ধরে রাখতে পারিনি ভালো শুরু করলে। আমরা ভালো বোলিং করে খেলায় নিজেদের রাখার চেষ্টা করেছি। আমরা এই নিয়ে আলোচনা করব, তবে আমরা খারাপ চেজ করিনি। শুধু তিনটে বড় শটের দরকার ছিল’।