দুঃসংবাদ সামনে আসে বছরের শুরুতেই। টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন হেড কোচ অংশুমান গায়কোয়াড় যে ক্যানসারে আক্রান্ত, সেটা জানা যায় তখনই। মারণরোগের সঙ্গে লড়াইয়ে নিঃসন্দেহে পর্যাপ্ত রসদের প্রয়োজন হয়। তাই চিকিৎসার খরচ বহনের জন্য বিসিসিআইয়ের কড়া নাড়া হয়েছে বলে খবর।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই নেটিজেরদের দাবি করতে দেখা যাচ্ছে যে, যারা বিশ্বকাপ জয়ের জন্য ১২৫ কোটি টাকা পুরস্কার দিতে পারে ক্রিকেট দলকে, তারা নিশ্চই প্রাক্তন তারকার চিকিৎসার ভার নিতে পিছপা হবে না। অনেকে আবার এও দাবি করেন যে, ১২৫ কোটি টাকার সামান্য অংশেই প্রাক্তন ক্রিকেটারের চিকিৎসা সম্ভব।
যদিও বিসিসিআইয়ের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। বিসিসিআই সচিব জয় শাহ-সহ প্রথম সারির বোর্ড কর্তারা এই মুহূর্তে জাতীয় দলের সঙ্গে বার্বাডোজে রয়েছেন। বুধবার দেশে ফেরার কথা ভারতীয় ক্রিকেট দলের। দেশে ফেরার পরে এই বিষয়ে নিজেদের মতামত জানাতে পারেন জয় শাহরা।
১৯৭৫ থেকে ১৯৮৭ সালের মধ্যে অংশুমান গায়কোয়াড় ভারতের হয়ে ৪০টি টেস্ট ও ১৫টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে মাঠে নামেন। তিনি টেস্টে ৩০.০৭ গড়ে ১৯৮৫ রান সংগ্রহ করেন। সেঞ্চুরি করেন ২টি এবং হাফ-সেঞ্চুরি করেন ১০টি। টেস্টে গায়কোয়াড়ের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ২০১ রানের। টেস্ট ক্রিকেটে ২টি উইকেটও রয়েছে তাঁর।
একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২০.৬৯ গড়ে ২৬৯ রান সংগ্রহ করেন অংশুমান। হাফ-সেঞ্চুরি করেন একটি। দেশের জার্সিতে ওয়ান ডে ক্রিকেটে গায়কোয়াড়ের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস অপরাজিত ৭৮ রানের। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১টি উইকেট নিয়েছেন তিনি।
ঘরোয়া ক্রিকেটে বরোদার হয়ে মাঠে নামতেন অংশুমান। ২০৬টি ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচে ১২১৩৬ রান রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। ১৪৩টি উইকেটও নিয়েছেন তিনি। অংশুমানের বাবা দত্তজিরাও গায়কোয়াড় ভারতের হয়ে ১১টি টেস্ট খেলেছেন। অংশুমান গায়কোয়াড় ১৯৯৭ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত ভারতীয় দলকে কোচিং করিয়েছেন। তাঁর পিতা দত্তজিরাও ১৯৭৮ সালে ভারতের কোচ হয়েছিলেন।