চৈত্রের শেষলগ্নে দাবদাহে জ্বলছে বাংলার একাংশ। বৈশাখ শুরুর আগে কালবৈশাখী আগামি কয়েকদিনের মধ্যে কি হবে? আসবে স্বস্তির বৃষ্টি? এমনই সব প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে দক্ষিণবঙ্গের নানান প্রান্তে। এদিকে, তির গতিতে বেড়ে চলেছে রোদের তেজ। এমন অবস্থায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে কী জানা গেল দেখা যাক।
বুধবার আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে দুপুরে জানানো পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃহস্পতি থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। এদিকে, দেশের বহু জায়গায় আইএমডির তরফে রয়েছে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস। তবে তারই মাঝে উত্তরাখণ্ডে নৈনিতাল সংলগ্ন বহু জায়গায় নেমেছে বৃষ্টি। বর্ষণে স্বস্তি পেয়েছে উত্তর প্রদেশের বহু অংশ। তবে তারই মাঝে মধ্যপ্রদেশে তাপপ্রবাহের কমলা সতর্কতা আইএমডির তরফে জারি রয়েছে মধ্যপ্রদেশে। বুধবার তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে সৌরাষ্ট্র, কচ্ছের উপর। ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে পঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লিতে। তবে এরই মাঝে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দিল্লিতে।
এদিকে, আজ বৃহস্পতিবার থেকেই রাজ্যের নানান জায়গায় বর্ষণের পূর্বাভাস আগেই দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এই বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গী হতে পারে দমকা হাওয়া। জানানো হচ্ছে, রাজ্যের উত্তর ও দক্ষিণ দুই প্রান্তেই বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমপ্রান্তের কিছু জেলায় বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে। বৃষ্টি হতে পারে পুরুলিয়া, বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদে। সেখানে হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণ হতে পারে। উত্তরবঙ্গেও বহু জায়গায় বর্ষণ হতে পারে। বৃহস্পতিতে উত্তর দিনাজপুরে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয় একটি নিম্নচাপ। সেই সঙ্গে দেশের নানান প্রান্তে ঘূর্ণাবর্ত ও একটি অক্ষরেখা তৈরি হয়েছে। রিপোর্টে বলা হচ্ছে, সেই অক্ষরেখা মধ্যপ্রদেশ থেকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বিস্তৃত হয়েছে।
এদিকে, আইএমডির পূর্বাভাস বলছে, ১০ এপ্রিল বিহার, অরুণাচল প্রদেশে এবং ১০ ও ১১ তারিখে হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিম, অসম ও মেঘালয়ের বিচ্ছিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, জানা যাচ্ছে, শুক্রবার উত্তর দিনাজপুরের সঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুরেও। শুক্রবারের পর শনিতেও রাজ্যে বৃষ্টির আবহ বজায় থআকতে পারে বলে সম্ভাবনার কথা উল্লেখ রয়েছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে।