২০১১ সালে রাজ্য পুলিশের আইজি পদ থেকে অবসর নেন পঙ্কজ দত্ত। তাঁর আইনজীবীর বক্তব্য, নিয়ম অনুযায়ী আইপিএস অফিসাররা অবসরের পরেও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। পঙ্কজ দত্তও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা পেতেন। কিন্তু, অবসরের পরে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন নীতি নিয়ে সমালোচনায় হতে দেখা যায় পঙ্কজ দত্তকে।
কলকাতা হাইকোর্ট।
রাজ্যের প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্তের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রাক্তন আইজি। সেই মামলায় রাজ্যের কাছে জবাব চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার মামলাটি ওঠে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে। পঙ্কজ দত্তের আইনজীবীর অভিযোগ, সরকারের নীতির বিরোধিতা করার জন্যই প্রাক্তন পুলিশ অধিকারীদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছে, যা বেআইনি। তার ভিতরে কেন নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছে? তা জানতে চেয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে রাজ্য পুলিশের আইজি পদ থেকে অবসর নেন পঙ্কজ দত্ত। তাঁর আইনজীবীর বক্তব্য, নিয়ম অনুযায়ী আইপিএস অফিসাররা অবসরের পরেও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। পঙ্কজ দত্তও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা পেতেন। কিন্তু, অবসরের পরে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন নীতি নিয়ে সমালোচনায় হতে দেখা যায় পঙ্কজ দত্তকে। বিশেষ করে নিয়োগ দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসার পরে রাজ্য সরকারকে একের পর এক তোপ দেগেছিলেন তিনি। এছাড়াও, রাজ্যে একের পর এক ধর্ষণ নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন। বারবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার কারণে তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে আদালতে অভিযোগ তোলেন পঙ্কজের আইনজীবী।
এদিন প্রাক্তন আইজির আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি রাজ্যের কাছে জানতে চেয়েছেন, যতজন প্রাক্তন ডিজি বা ডিআইজি রয়েছেন তারা সকলে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা আধিকারিক পান কিনা, একইসঙ্গে পঙ্কজ দত্তের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কেন প্রত্যাহার করা হল? তাও জানতে চেয়েছে আদালত। আগামী সাত দিনের মধ্যে আদালতকে তা জানাতে হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী সোমবার। একই সঙ্গে মামলায় বিচারপতি পর্যবেক্ষণ, ‘প্রাক্তন আইপিএসের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত যদি রাজ্য নেয় তাহলে সব ক্ষেত্রে প্রত্যাহার করা উচিত। শুধু একজনের ক্ষেত্রে নয়।’ যদিও পঙ্কজ দত্তের দাবি, সবার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়নি। শুধুমাত্র তাঁর ক্ষেত্রে করা হয়েছে। আগামী সোমবার রাজ্যের বক্তব্য শোনার পরে এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে কলকাতা হাইকোর্ট।