আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনে বসবেন সব মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তার, সিনিয়র ডাক্তার, নার্সরা। সোমবারই ধর্মতলার ধরনা মঞ্চ থেকে এই ঘোষণা করা হয়। সঙ্গে ডাক দেওয়া হয় মহামিছিলের। আর সেই ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই সোমবার সন্ধ্যায় নবান্ন থেকে অনশনকারীদের উদ্দেশে বার্তা দেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। চিকিৎসকদের দাবি মেনে নেওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করেন তিনি। উল্লেখ্য, চিনকিৎসকদের ১০ দফা দাবির অন্যতম ছিল কেন্দ্রীয় ভাবে রোগী রেফারেল সিস্টেম চালু করা। সেই বিষয়ে মনোজ পন্থ জানান, ১ নভেম্বর থেকে পুরো রাজ্যে ওই সিস্টেম চালু হবে। তিনি বলেন, 'আগামী ১৫ তারিখ থেকে রেফারেল ব্যবস্থার একটি পাইলট প্রোজেক্ট চলু হচ্ছে। আর ১ নভেম্বরের থেকে তা গোটা রাজ্যে কার্যকর করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।' (আরও পড়ুন: এবার জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে উঠল মারাত্মক অভিযোগ, দায়ের হল FIR)
আরও পড়ুন: পঞ্চমীতে গর্জে উঠবেন বাংলার জুনিয়র ডাক্তাররা, ষষ্ঠীতে আরজি করের ঝাঁঝ গোটা দেশে
উল্লেখ্য, ধর্মতলায় আমরণ অনশনে শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তারদের ৭ জন। তবে গত ৫ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই অনশন নিয়ে সরকারের তরফ থেকে এতদিন 'নীরব' থাকা হয়েছে। তবে চতুর্থীর সন্ধ্যায় অবশেষে আন্দোলনকারী চিকিৎসদের উদ্দেশে বার্তা দিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। গতকাল ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্প নিয়ে রিভিউ মিটিং ছিল। এরপর নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সেখানেই তিনি মুখ খোলেন। নবান্নে সাংবাদির বৈঠকে মনোজ পন্থ বলেন, 'আমরা সবাইকে কাজে ফিরে আসতে অনুরোধ করছি। অনেকে ফিরেছেন। বাকিরাও ফিরুন। মানুষকে পরিষেবা দিন। আমরা সবাই মিলে হাসপাতালের পরিবেশের উন্নতির চেষ্টা করছি। এবং কাজ যে হচ্ছে, সেটাও দেখা যাচ্ছে।'
আরও পড়ুন: মলদ্বীপকে ৬৩০০ কোটির সাহায্য ভারতের, মোদী সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতায় গদগদ মুইজ্জু
এরপর রাজ্যের মুখ্যসচিব দাবি করেন, ১০ অক্টোবরের মধ্যে ৯০ শতাংশ কাজ হয়ে যাবে। এদিকে চিকিৎসকদের সুরক্ষার বিষয়ে মনোজ পন্থ বলেন, 'রাজ্যে ২৮টি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। সেখানে মোট সাত হাজার ৫১টি সিসি ক্যামেরা বসানো হবে।' তিনি দাবি করেন, সেই কাজের ৪৫ শতাংশ ইতিমধ্যেই বসানো হয়ে গিয়েছে। ১১৩ কোটি টাকার কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান রাজ্যের মুখ্যসচিব।
আরও পড়ুন: ১৩০০০ ইন্টার্নশিপের অফার TCS, L&T সহ ৫০ কর্পোরেট সংস্থার, ঘনিয়ে আসছে আবেদনের দিন
এদিকে আজ ধর্মতলার ধরনা মঞ্চ থেকে পঞ্চমীতে একাধিক কর্মসূচির কথা ঘোষণা করে জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট। জানানো হয়, ৮ অক্টোবর, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনে বসবেন সব মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের সঙ্গে অনশন করবেন সিনিয়র চিকিৎসক, নার্সরা এবং স্বাস্থ্যকর্মীরাও। এদিকে মঙ্গলবার পঞ্চমী তিথিতে জুনিয়র ডাক্তাররা একটি মহামিছিলের ডাক দিয়েছেন। ঘোষণা করা হয়, ৮ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টের সময় কলেজ স্কোয়্যার থেকে অনশন মঞ্চ পর্যন্ত মিছিল করা হবে।