সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় বলেছিলেন, দলের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওঁর সিদ্ধান্তই শেষ কথা। আর তা মেনে চলতে হবে। তাতেই ক্ষোভ উগড়ে দেন শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি পাল্টা বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আর কাউকে নেতা হিসাবে মানি না। আমার নেত্রী তিনিই। এরপর জল গড়ায় অনেকদূর। এবার নাম না করে নবীন–প্রবীণ নেতাদের বার্তা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ, বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচন ছিল। যেখানে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফের চেয়ারপার্সন হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই বিজেপি, রাজ্যপাল–সহ নানা বিষয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। বিজেপিকে চু–কিত–কিত দল বলে আক্রমণ করেছেন তিনি। আবার রাজ্যপালকে ঘোড়ার পাল বলেছেন নাম না করে। এমনকী লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশ থেকে লড়াই করবেন বলেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক নয়াদিল্লিতে হবে বলেও তিনি জানান।
ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো? এদিন তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর বলেন, ‘কথা দিন কেউ কারও সঙ্গে দ্বন্দ্ব করবেন না। সবাইকে বলব দলকে বিব্রত করবেন না। সাত–আটজন বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিতে চায়। আসুক। এসে কাজ করতে হবে। জোর করে কাউকে দলে নেব না। দলে একটা সামঞ্জস্য থাকবে। দলের একটাই গ্রুপ থাকবে। দলে কেউ কারও সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়াবেন না, দলই শেষ কথা। দু’বছর আমাদের হাতে সময় আছে। ৪২–এ ৪২ চাই। বাংলা মজবুত করে, ঘর মজবুত করে ২০২৪ সালে বিজেপিকে সরাতে হবে।’
এদিন তিনি আরও বলেন, ‘দল একটাই–তৃণমূল কংগ্রেস। মাথায় থাকবে? দল ছাড়া কিছু নেই। দল একটাই –তৃণমূল, চিহ্নটা জোড়াফুল। আপনাদের আমাকে কথা দিতে হবে। কেউ কোনওভাবে পরস্পরের সঙ্গে কোনও দ্বন্দ্ব করবেন না। পরস্পরের মধ্যে দ্বন্দ্ব হবে না।’ উল্লেখ্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তোলপাড় শুরু হয়। তারপর তাতে যোগ দেন সৌগত রায়, অপরূপা পোদ্দার। এমনকী কুণাল ঘোষও জড়িয়ে পড়েন। পরে অভিষেক গোয়া থেকে বলেন, কল্যাণ ঠিকই বলেছেন। আমারও নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন বিষয়টি থামে।