ইফতার পার্টিকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। শুক্রবার সন্ধ্যায় এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার জেরে মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগের গেট কিছুক্ষণ বন্ধ রাখতে হয়। ঘটনার ভিডিয়ো পোস্ট করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে গুন্ডারাজ চালানোর অভিযোগ তুলেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
আরও পড়ুন - শিয়ালদায় আসছে AC লোকাল ট্রেন, ভাড়া শুনলে আজই বিক্রি করে দেবেন চার চাকা গাড়ি
পড়তে থাকুন - ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠান, নিষিদ্ধ করুন ওদের,' যাদবপুরে অবাক প্রস্তাব শুভেন্দুর
জানা গিয়েছে, কলকাতার পুরসভার ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে কলুটোলা এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্যায় ইফতারের সময় তৃণমূলের ২ গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বাঁধে। জানা গিয়েছে ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আয়েশা নাজ় গত পুর নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হিসাবে জয়লাভ করেন। তাঁর স্বামী ইরফান আলির বিরুদ্ধে এলাকায় মাদকব্যবসা ও বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ তুলেছিলেন স্থানীয় INTTUC নেতা। ইদের পরে এব্যাপারে পদক্ষেপ করবেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ তার জেরেই শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁর ওপর হামলা হয়। ব্যাপক মারধর করা হয় ওই INTTUC নেতাকে।
এর পর তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে হাজির হয় ২ পক্ষের সমর্থকরা। মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগের মধ্যেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে জরুরি বিভাগের গেট আটকে দিয়ে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছয় বউবাজার থানার পুলিশ। বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে তারা। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়।
মেডিক্যাল কলেজে তৃণমূলের ২ গোষ্ঠীর সংঘর্ষের ভিডিয়ো প্রকাশ করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি লিখেছেন, ‘গোষ্ঠীকোন্দল থেকে হাসপাতালে ভয়াবহ দুষ্কৃতী তাণ্ডব! উত্তর কলকাতায় ইফতার পার্টির আয়োজনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা গিয়ে পৌঁছালো কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগে। বহিরাগত দুষ্কৃতীদের নিয়ে হাসপাতালে ঢুকে শাসকদলেরই একটি গ্রুপের লোকজনকে বেধড়ক মারধর করলো আরেকটি গ্রুপের দুষ্কৃতীরা। আকস্মিক এই হামলার ঘটনার আতঙ্কে তটস্থ মুমূর্ষু রোগীরা।
আরও পড়ুন - টাকার জন্য ৫ বছরের মেয়েটাকেও ছাড়ল না ওরা, হাতেনাতে ধরলেন সরকারি চিকিৎসকরা
মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর তোষামোদের সরকারে এখন সশস্ত্র দুষ্কৃতীরাই জনপ্রতিনিধি আর চাটুকার কলকাতা পুলিশ তাদের পাহারাদার! এতদিন রাস্তা-ঘাটে, তৃণমূলের পার্টি অফিসে যে ভাগবাঁটোয়ারার লড়াই হতো তা এখন হাসপাতালের ইমার্জেন্সি ব্লকেও!
আপনার গুন্ডারাজের শাসনে হাসপাতালের ভর্তি হওয়া মুমূর্ষু রোগীদেরও কোনও নিরাপত্তা নেই ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী?’