সোমবার ভোরে উল্টোডাঙা মেইন রোডে ফ্ল্যাটে লুঠপাট। হাডকো ক্রশিংয়ের কাছে রয়েছে এই ফ্ল্য়াট। সেখানেই সোমবার ভোরে বাড়ির লোকজন যখন ঘুমিয়ে ছিলেন তখনই ফ্ল্যাটে লুঠপাট চলে বলে অভিযোগ। নগদ ও গয়না মিলিয়ে প্রায় ২ কোটি টাকার সামগ্রী লুঠপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
তবে পরিবারের সদস্যদের দাবি, তাঁরা যখন ঘুমিয়ে ছিলেন তখন এই লুঠপাট করা হয়েছে। এদিকে তাঁদের সন্দেহ চেনা কেউ এই লুঠপাটের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। কারণ গয়নাগাটি কোথায় রয়েছে এটা জানত দুষ্কৃতীরা। এদিকে ফ্ল্যাটে লুঠপাট চালানো হলেও বাড়িতে ইলেকট্রনিক্সের একাধিক যন্ত্রপাতি ছিল। সেগুলিকে ছুঁয়েও দেখেনি দুষ্কৃতীরা।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় ঘুমিয়ে ছিলেন পরিবারের লোকজন। এমনটাই দাবি পরিবারের সদস্যদের। সুশীল কুমার বাজাজ নামে ৬২ বছর বয়সি এক ব্য়বসায়ী এই ফ্ল্যাটের মালিক। তাঁর পুত্র শুভম পুলিশকে জানিয়েছেন, দুষ্কৃতী তাদের একতলার ঠাকুরঘরে জানালা দিয়ে প্রবেশ করেছিল। সেই জানালার গ্রিল ভেঙে সে ভেতরে ঢুকেছিল।
আলমারিতেই চাবি ঝুলছিল। সেকারণে আলমারি খুলতে তার কোনও সমস্যা হয়নি। বছর খানেক আগে পরিবারে একটি বিয়ে হয়েছিল। তারপর থেকে গয়না আর ব্য়াঙ্কের লকারে ফেরত দেওয়া হয়নি।
সূত্রের খবর, সকাল ৬টা ১৫ মিনিট নাগাদ শুভমের মা দেখতে পান যে জানালার গ্রিলটা ভাঙা রয়েছে। প্রায় ২ লাখ টাকার নগদ টাকা লুঠ করা হয়েছে। এছাড়াও সোনার নেকলেস, দুল, সহ ৭০ লাখ টাকার গয়না লুঠ করা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ৫ লাখ টাকার চুড়ি, ৫ লাখ টাকার সোনার দুল, ১৫ লাখ টাকার সোনার চেন সহ বহু মূল্য়বান সোনার গয়না লুঠ করা হয়েছে।
পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, ঘরের চারদিকে ইলেকট্রনিক্সের নানা সামগ্রী ছিল। সেগুলি ছুঁয়েও দেখেনি চোর। তবে রান্নাঘরে ঢুকেছিল। সেখানে গিয়ে কিছু কাজুবাদামও খেয়ে পালিয়েছে।
এদিকে পুলিশ ইতিমধ্যে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। ফরেনসিক টিমকেও নিয়োজিত করা হয়েছে। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উল্টোডাঙা থানায় এফআইআর করা হয়েছে। ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্টও এই ঘটনার তদন্ত করে দেখছে। এদিকে গোটা ঘটনায় ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের মধ্য়েও আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
এদিকে কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে।