পূর্বাভাস মতোই ঝড়ের দাপট নেই। তবে রাতভর টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়েছে কলকাতার বহু এলাকা। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন যে ভারী বৃষ্টি না হলে কলকাতায় জল জমবে না। ভারী বৃষ্টির আশঙ্কায় কলকাতা পুরসভা প্রস্তুত থাকা সত্ত্বেও জল জমল কলকাতার বহু এলাকায়। টানা বৃষ্টিতে পাতিপুকুর, বিটি রোড, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, ঠনঠনিয়া ,মুক্তারাম বাবু স্ট্রিট, গার্ডেনরিচের একাংশ জলের তলায়। 'জাওয়াদ' নিম্নচাপ হয়ে যাওয়ার কারণে আও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আজ সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। ফলে ভারী বৃষ্টি হলে কলকাতার আরও বহু এলাকা জলমগ্ন হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে নবান্ন। ছুটি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর , সেচ এবং বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের। নবান্নের পাশাপাশি পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে পুরসভা। শহরের জমা জল দ্রুত নামানোর জন্য রাস্তায় নেমেছেন নিকাশি বিভাগের কর্মীরা। সেইসঙ্গে, জল নামানোর জন্য পুরসভার একাধিক পাম্প চালু করে দেওয়া হয়েছে। গোটা পরিস্থিতির ওপর নজরদারি চালাচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
বৃষ্টির পূর্বাভাস
সোমবার দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী ও লাগোয়া জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফ জানানো হয়েছে, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি এবং কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে সোমবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। বেলা বাড়লে বৃষ্টিপাত ক্রমশ কমবে। তার জেরে বিভিন্ন এলাকায় যানজটের সম্ভাবনা আছে। কলকাতার বিভিন্ন অংশে জল জমে যেতে পারে।
তবে পূর্বের জেলাগুলি তথা বাংলাদেশ লাগোয়া জেলাগুলির (নদিয়া, মুর্শিদাবাদ এবং উত্তর ২৪ পরগনা) একটি বা দুটি জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও বিক্ষিপ্তভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস আছে। ওই চার জেলায় ৭০ মিলিমিটার থেকে ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে। সেজন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।