এটিএম লুঠ করে একেবারে জঙ্গলে ভ্যানিস হয়ে গিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। এরপর একেবারে খোঁজ খোঁজ। কোথায় গেল দুষ্কৃতীরা। শেষ পর্যন্ত সেই জঙ্গল থেকে এটিএম লুঠেরাদের ধরে আনল পুলিশ। কীভাবে?
রাজ্য পুলিশের তরফে এক্স হ্যান্ডলে এনিয়ে বিস্তারিতভাবে জানানো হয়েছে।
'এটিএম ভেঙে লক্ষ লক্ষ টাকা চুরি, ময়নাগুড়ির জঙ্গল থেকে গ্রেফতার দুষ্কৃতীরা।
একটা গ্যাস 'কাটার'। তাই দিয়েই পরপর দুটো এটিএম ভেঙে প্রায় ৫৫ লক্ষ টাকা চুরি করে উধাও একদল দুষ্কৃতি। উধাও বলে উধাও? একেবারে জঙ্গলে ভ্যানিশ।
ঘটনা উত্তরবঙ্গের। জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের অন্তর্ভুক্ত ময়নাগুড়ি থানা এলাকার মামলা। চলতি মাসের ১৪ তারিখ রাত একটা নাগাদ ময়নাগুড়ি-মালবাজার রোডের উপর দুটি এটিএম-এ হানা দিয়ে মোট ৫৪ লক্ষ ৭১ হাজার ৪০০ টাকা চুরি করে নেয় দুষ্কৃতিরা। খবর পাওয়া মাত্রই এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় চেকিং চালু করি আমরা, খবর পাঠানো হয় আশেপাশের সমস্ত থানায়।
রাত তখন প্রায় তিনটে। ভোরের আলো থানা এলাকায় গজলডোবা বাঁধের কাছে বাজেয়াপ্ত হয় অসমের নম্বর প্লেট বসানো একটি এসইউভি। কিন্তু গাড়ির আরোহীরা? তারা চম্পট দিয়েছে বৈকুন্ঠপুরের ঘন জঙ্গলে। এবার শুরু হয় সমস্ত জঙ্গল জুড়ে তন্নতন্ন খোঁজ, প্রযত্নে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ শুধু নয়, সঙ্গে শিলিগুড়ি কমিশনারেটের টিম, স্থানীয় মানুষ, এবং সরস্বতী চা বাগানের বাসিন্দারাও।
সারারাত ধরে জঙ্গল, চা বাগান, তিস্তা নদীর পাড় চষে বেড়ানোর পর গত পরশু, অর্থাৎ ১৫ জুন সকালে ধরা পড়ে পাঁচ চোরের মধ্যে দুজন, উদ্ধার হয় কিছু টাকা। আরও একজন জালে উঠে আসে ১৫ তারিখ সন্ধ্যায়। বাকি দুজন এখনও পলাতক, তবে বেশিক্ষণের জন্য নয়।
ধৃত মহম্মদ আসলুপ খান, মহম্মদ শামশের খান, এবং ইরফান খান যথাক্রমে হরিয়ানা, বিহার, এবং রাজস্থানের বাসিন্দা। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৫ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা, বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সেই এসইউভি, একটি দিল্লি পুলিশের টুপি, গ্যাস কাটার ও অন্যান্য সরঞ্জাম, তিনটি মোবাইল ফোন, এবং অসম, উত্তরপ্রদেশ, ও পশ্চিমবঙ্গের তিনটি নম্বর প্লেট।
ষাট ঘন্টারও বেশি ধরে অক্লান্ত পরিশ্রমের পর আসা এই সাফল্যের জন্য অভিনন্দন ময়নাগুড়ি থানা, অভিনন্দন জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ।'
এটিএম লুঠ করে জঙ্গলে লুকিয়ে পড়েছিল দুষ্কৃতীরা। বৈকুণ্ঠপুরের ঘন জঙ্গলে লুকিয়ে পড়েছিল ভিনরাজ্যের দুষ্কৃতীরা। তাদের ধরতে নেমে পড়েছিল পুলিশ। সাধারণ মানুষও সহায়তা করেছিল পুলিশকে। অবশেষে এল সাফল্য।