ছটপুজোর সময় দক্ষিণ কলকাতার ফুসফুস বলে পরিচিত রবীন্দ্র সরোবর বন্ধ থাকে। যাতে জলে দূষণের জেরে জলজ প্রাণীর ক্ষতি না হয়। সরোবরের জল দূষিত না হয় এবং প্রকৃতির ক্ষতি না হয়। কিন্তু এবার দোলের দিন রবীন্দ্র সরোবরে ঢোকা যাবে। এই খবর চাউর হতেই তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ১৪ এবং ১৫ মার্চ সাধারণ মানুষের জন্য বন্ধ থাকলেও রবীন্দ্র সরোবর খোলা থাকবে ক্লাবের জন্য বলে সূত্রের খবর। খোলা থাকবে সরোবরের ঢোকার দরজা। কিন্তু নিয়ম ভেঙে কেন ক্লাবকে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে? এক্ষেত্রে দূষণ হবে না? রঙ–আবিরে সরোবরের জলের ক্ষতি হবে না? এমন সব প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই প্রকৃতির ক্ষতি এবং স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে আজ, মঙ্গলবার সকালে রবীন্দ্র সরোবরের ১২ নম্বর গেটে বিক্ষোভ দেখায় লেক লাভার্স ফোরাম। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বহু প্রাতঃভ্রমণকারীরাও। তাঁদের অভিযোগ, গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যেমন লেকের ভিতরে নির্মাণকাজ চলছে ঠিক তেমনই দোল–হোলির দিন কিছু ক্লাবকে লেকের ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। দোল উপলক্ষ্যে ১৪ এবং ১৫ মার্চ আমজনতার জন্য বন্ধ থাকবে রবীন্দ্র সরোবর। কিন্তু কয়েকটি ক্লাবের জন্য খোলা থাকবে বলে অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে এখন সরগরম সরোবর এলাকা।
আরও পড়ুন: উচ্চমাধ্যমিক চলাকালীন পাখা খুলে পড়ল পরীক্ষার্থীদের উপর, বোলপুরে তুলকালাম
এখানে কয়েকটি ক্লাবকে রবীন্দ্র সরোবরের ভিতরে দোল উদযাপনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়টা মানতে নারাজ পরিবেশপ্রেমীরা। তাই এই বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে নালিশ জানিয়েছেন পরিবেশপ্রেমীরা। পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মাকে ই–মেল পাঠিয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে। কিন্তু এই রবীন্দ্র সরোবর জাতীয় লেক। এটির দেখভাল করে কেএমডিএ। সেখানে ক্লাব যদি অনুমতি পায় তাহলে তা নিয়েছে কেএমডিএ’র থেকে। যদি এই বিষয়ে কেএমডিএ এখন মুখে কুলুপ এঁটেছে। তবে তেতে উঠেছেন পরিবেশ কর্মীরা।