বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Fake call center: সল্টলেকে ভুয়ো কল সেন্টার খুলে স্পেন ও মার্কিন নাগরিকদের প্রতারণা, ধৃত ১১
পরবর্তী খবর
Fake call center: সল্টলেকে ভুয়ো কল সেন্টার খুলে স্পেন ও মার্কিন নাগরিকদের প্রতারণা, ধৃত ১১
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 17 Feb 2023, 11:39 AM ISTMD Aslam Hossain
কল সেন্টারের দুজন ডিরেক্টর সুমিত মাঝি এবং হাফিজুর রহমান সরদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা বিভিন্নভাবে মার্কিন এবং স্পেনের নাগরিকদের অর্থ দিতে বাধ্য করত। ওই কল সেন্টারের নাম হল উই কেয়ার সলিউশন প্রাইভেট লিমিটেড।
ভুয়ো কল সেন্টার চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার ১১ জন। প্রতীকী ছবি
সল্টলেকে আবারও ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ পেল পুলিশ। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতরা মূলত সফটওয়্যার এবং ই কমার্সের প্রতিনিধি হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিয়ে মার্কিন এবং স্পেনের নাগরিকদের সঙ্গে প্রতারণা করত। গোপন সূত্রে সেই খবর পেয়ে পুলিশ সল্টলেকের একটি বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সের হানা দিয়ে তাদের গ্রেফতার করেছে। পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল এবং সিম কার্ড বাজেয়াপ্ত করেছে।
বিধাননগর সাইবার থানার এক আধিকারিক বলেন, ‘আমরা একটি গোপন সূত্রের খবর পেয়ে বুধবার ওই অফিসে অভিযান চালিয়েছি এবং একটি দলকে খুঁজে পেয়েছি। তারা বিদেশি নাগরিকদের ফোন এবং ল্যাপটপের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করত। ওই কল সেন্টার পরিচালনা করত সুমিত মাঝি এবং হাফিজুর রহমান সরদার। কল সেন্টারের কর্মীরা মূলত স্পেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের কাছে সফটওয়্যার কোম্পানি এবং ই-কমার্স জায়ান্টের প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দিত। আর তারপরেই তাদের সঙ্গে করা হত প্রতারণা।
কীভাবে করা হত প্রতারণা?
পুলিশ জানিয়েছে, মার্কিন এবং স্পেনের নাগরিকদের ভুল বুঝিয়ে তাদের ডিভাইসে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলত। আর সেই অ্যাপটি একবার ডাউনলোড করলেই একটি পাসকোড শেয়ার করতে বলা হত। সেই কোডটি শেয়ার করলেই ওই নাগরিকদের ফোন বা ল্যাপটপে অ্যাক্সেস করতে পারত প্রতারকরা। আর তারপরেই বিভিন্নভাবে টাকা আদায় করত। প্রতারকরা যে অফিস ভাড়া নিয়েছিল সেই অফিসের আয়তন ১২০০ বর্গফুট। তবে সেই অফিসের মালিকের সঙ্গে চুক্তির কোনও দলিল দেখাতে পারেনি। এমনকী অফিসের কোনও নথিও দেখাতে পারেনি প্রতারকরা।