সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরদিন সকালেই হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে কলকাতার আরজি কর মেডিক্যালে পৌঁছে গেলেন সিআইএসএফের কর্তারা। বুধবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ হাসপাতালে পৌঁছন সিআইএসএফের ডিআইজি ও ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার ২ আধিকারিক। কলকাতা পুলিশের আধিকারিকদের সঙ্গে হাসপাতালের একাধিক জায়গা ঘুরে দেখেন তাঁরা। মঙ্গলবারই এক নির্দেশে আরজি কর মেডিক্যালের নিরাপত্তার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে অর্পণের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ৩ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন - ফের রক্তে ভিজল তিলোত্তমার মাটি, সাতসকালে আনন্দপুরে উদ্ধার মহিলার ক্ষতবিক্ষত দেহ
পড়তে থাকুন - আরজি করে খুনের পরে সঞ্জয়ের ফোন এক পুলিশকে? বারাকে গিয়ে ঘুম, সিবিআইয়ের নজরে এএসআই, প্রশ্ন শুনেই ছুট!
মঙ্গলবার আদালত নির্দেশ দিয়ে জানায়, হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে কলকাতা পুলিশ। কেন মহিলা চিকিৎসকের দেহ যেখানে পাওয়া গিয়েছিল তার পাশের ঘর ও শৌচাগার ভাঙতে পুলিশের তরফে বাধা দেওয়া হয়নি সে প্রশ্নও ওঠে আদালতে। বিশেষ করে যখন ওই ঘটনার তদন্তভার কলকাতা পুলিশের হাতেই ছিল। যদিও সন্ধ্যায় আদালতের নির্দেশ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি করে তৃণমূলের এক মুখপাত্রের করা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট। ওই পোস্টে ওই নেতা দাবি করেন, সুপ্রিম কোর্ট তার রায় বদল করেছে। আরজি কর হাসপাতালে মেডিক্যাল কলেজে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হচ্ছে না। কিন্তু রাত বাড়লে সর্বোচ্চ আদালতের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ হাসপাতালে CRPF বা CISFএর নিরাপত্তা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে।
এর পরই বুধবার সকালে আরজি কর হাসপাতালে পৌঁছে যান সিআইএসএফের ডিআইজি ও ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার এক আধিকারি। কলকাতা পুলিশের আধিকারিকদের সঙ্গে হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখেন তাঁরা। কোথায় কোথায় জওয়ানদের মোতায়েন করা প্রয়োজন তা খতিয়ে দেখেন। এর পর হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে যান তাঁরা। সেখানেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কলকাতা পুলিশের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন - ‘পশ্চিমবঙ্গের সরকার এখন জনগণের বিশ্বাস হারিয়েছে’, মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন রাজ্যপাল
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের রায় কলকাতা পুলিশের ইতিহাসে সব থেকে বড় কলঙ্ক বলে মনে করছেন প্রাক্তন পুলিশকর্তারা। এই পরিণতির দায় মাথায় নিয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের ইস্তফার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।