মহেশতলার রবীন্দ্রনগরের সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার করা হল ৪০ জনকে। তার মধ্যে ১৮ জনকে ধরা হয়েছিল গতকালই। এদিকে এলাকাজুড়ে জারি রয়েছে ১৬৩ ধারা। বুধবারের সহিংসতার পরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রবীন্দ্রনগর থানা এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে সেই এলাকায় প্রায় সব দোকানপাট বন্ধ আজ। জানা গিয়েছে, গতকালই কলকাতা পুলিশ ১২ জনকে গ্রেফতার করেছিল হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে। এদিকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ গ্রেফতার করেছিল ৪ জনকে। পরে আরও ২৪ জনকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশ। আজ পুলিশের তরফে এলাকায় জমায়েত করতে নিষেধ করা হচ্ছে। এলাকায় এখনও আতঙ্কের পরিবেশ রয়েছে। ভুয়ো খবর না ছড়ানোর আবেদন জানানো হয়েছে। পুলিশের বার্তা, ‘শান্তি বজায় রাখার দায়িত্ব সকলের। কেউ শান্তিভঙ্গের চেষ্টা করলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’ (আরও পড়ুন: ইউনুস যেন 'অচ্ছুৎ', 'চরম অপমান' হজম বাংলাদেশি প্রধান উপদেষ্টার)
আরও পড়ুন: ভারতকে বেস্টফ্রেন্ড বানাতে চাইলেও… বড় দাবি 'সংঘর্ষ বাঁধাতে চাওয়া' ইউনুসের
বুধবার মহেশতলার সংঘর্ষে একের পর এক পুলিশকর্মী জখম হয়েছিলেন। রবীন্দ্রনগর থানার ঠিক পিছন দিকে আক্রা ফটক বাজারে কার্যত তাণ্ডব চলেছিল। স্থানীয় একদলের ইটবৃষ্টিতে পুলিশকর্মীরা একটা সময় দিশাহারা হয়ে পড়েছিলেন। তাণ্ডব চালানো গোষ্ঠীরা রাস্তায় থাকা বাইকেও অগ্নিসংযোগ করেছিল। এই আবহে পুলিশ পিছু হঠে। উত্তেজিত জনতা রবীন্দ্রনগর থানার কাছেই ঝামেলা পাকাতে শুরু করে। সিসি ক্যামেরা ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটিয়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টাও করে। বিভিন্ন গলিতে পুলিশ ঢুকে পড়ে দুষ্কৃতীদের তাড়া করে। অনেক ক্ষেত্রে পুলিশ পালটা তাড়া খায়। এলাকায় বহু বাড়ির ছাদ থেকেও ইট ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। (আরও পড়ুন: ইউনুসের বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথের কাছারিবাড়িতে হামলা, ঠুটো জগন্নাথ পুলিশ)
আরও পড়ুন: মোদীর কাছে পাত্তা পাননি তিনি, নিজে মুখেই স্বীকার করলেন ইউনুস