সেমিনার রুমেই কি খুন হয়েছিলেন আরজি করের চিকিৎসক নাকি অন্য কোথাও খুন করে ওখানে ফেলে রাখা হয়েছিল? ফের নতুন করে এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এবার সামনে সিএফএসএল রিপোর্ট। ১২ পাতার রিপোর্ট। বলা হচ্ছে সকলের নজর এড়িয়ে প্রবেশ করা ও অপরাধ করে বেরিয়ে যাওয়া অত্যন্ত ক্ষীণ। এখানে ২৪ ঘণ্টা হাসপাতাল চালু থাকে। সেক্ষেত্রে সেই সেমিনার হলে কেউ ঢুকবে আর কেউ জানতে পারবেন না এটা কীভাবে সম্ভব? খবর একাধিক সংবাদমাধ্য়ম সূত্রে।
যে ম্যাট্রেসে পাওয়া গিয়েছিল তরুণী চিকিৎসকের দেহ সেখানে ধর্ষণ খুনের সময় ধস্তাধস্তির কোনও চিহ্ন মেলেনি। এনিয়েই সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে সিএফএসএল রিপোর্টে। সেমিনার রুমে প্রতিরোধের বা ধস্তাধস্তির কোনও চিহ্ন নেই। সংশয়টা এখানেই।
সত্যি কি সেমিনার রুমে খুন, ধর্ষণ হয়েছিল নাকি অন্য কোথাও? তবে কি অন্য কোথাও ধর্ষণ খুন করে সেমিনার রুমে নিয়ে আসা হয়েছিল দেহ? ক্রাইম সিন কি বদলানো হয়েছিল?
জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, , ৪ ও ৫ নম্বর পয়েন্ট দেখে আমাদের যা মনে হচ্ছে ওই জায়গায় ম্যাট্রেসে কোনও ধস্তিধস্তির কোনও চিহ্ন নেই। আমারও এটা আগে বলেছি। এখন সিএফএসএল রিপোর্টেও সেটা বলছে। সেমিনার রুমেও ধস্তাধস্তির কোনও চিহ্ন নেই। সেই সঙ্গেই ওই সেমিনার রুমে কেউ ঢুকবেন অথচ কেউ দেখতে পাবেন না এই সম্ভাবনা ক্ষীণ। এটাও উল্লেখ করা হয়েছে CFSL রিপোর্টে।
আরজি কর কাণ্ড নিয়ে এবার সামনে এল সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবের রিপোর্ট।
চিকিৎসকদের একাংশের দাবি ম্যাট্রেস পরিপাটি করে বিছানো। জলের বোতল। ল্যাপটপ। পরে কি এগুলোর পজিশন বদলানো হয়েছিল? সঞ্জয় রায় ঢুকল আর কেউ জানল না এটা কীভাবে সম্ভব? আদৌ সঞ্জয় রায় কি একলা নাকি, আরও কেউ। ওখানেই কি খুন হয়েছে নাকি অন্য কোথাও? তবে কি তথ্য় প্রমাণ লোপাট হয়েছে?
প্রসঙ্গত, গত ৯ অগস্ট ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের চারতলায় সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ।
এসবের মধ্য়েই সময়ের মধ্যে সিবিআই চার্জশিট জমা দিতে না পারায় তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় জামিন পেয়েছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন নির্যাতিতার বাবা।
নির্যাতিতার বাবা বলেছিলেন, ‘খুবই দুঃখজনক ঘটনা। সিবিআই আগেই লিখে দিয়েছিল সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে ৯০ দিনের মধ্যেই যা করার করব। তদন্ত যে ঠিক মতো হয়নি তার প্রমাণ তো পাওয়াই গেল। সিবিআইয়ের উপর এবার হতাশ হচ্ছি। আমরা আদালতে যাব। আদালত ছাড়া তো আমাদের আর কোনও রাস্তা খোলা নেই।’