কলকাতায় মোট ১২টি আশ্রয়ের মধ্যে বেশ কয়েকটিতে এখনও ঘর খালি। এখানে তিনটি ‘শেল্টার’ নারী শিশু কল্যাণ দফতর দেখে। গ্যালিফ স্ট্রিট, ১৯বি চেতলা রোডে এবং নর্দার্ন পার্ক—তিনটি জায়গার শেল্টার। ঘর খালি আছে তিনটিতেই। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, গ্যালিফ স্ট্রিটে ৪০ জন গৃহহীনের থাকার ব্যবস্থা আছে। রয়েছে ২৯ জন।
কলকাতা পুরসভা
কলকাতা পুরসভা গৃহহীনদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছে। তারপর তা চালাতে দেওয়া হয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিকে। কিন্তু এই স্বেচ্ছাসেবি সংস্থাগুলি টাকা নিয়ে ব্যবসা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগ কানে এসেছে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের। আর তাতেই বেজায় চটেছেন মেয়র। তারপরই খবর পেয়ে কড়া ব্যবস্থা নিল কলকাতা পুরসভা। সরাসরি স্বেচ্ছাসেবি সংস্থাগুলিকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই ঘটনায় জোর আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।
এই গৃহহীনরা ফুটপাথে থেকে ভিক্ষে করে দিন কাটান। তাই এমন মানুষজনের জন্য বিনামূল্যে মাথার ছাদের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেোপাধ্যায়। সেই প্রতিশ্রুতি মতো কলকাতায় গৃহহীনদের জন্য ১২টি মাথার ছাদ বা আশ্রয় কেন্দ্র তৈরি করে কলকাতা পুরসভা। সেখানে থাকেন ৬৮৪ জন ভিক্ষুক। তার মধ্যে ৯টি ‘শেল্টার ফর আর্বান হোমলেস’ পরিচালনা করে স্বেচ্ছাসেবি সংস্থাগুলি। আর এইসব রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির। বাকি তিনটি ‘শেল্টার’ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ দফতর।
এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কিন্তু এবার অভিযোগ উঠেছে এই গৃহহীনদের থেকে টাকা নিয়েছে কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবি সংস্থা। এই বিষয়ে শোরগোল পড়তেই মেয়র পারিষদ (সোশ্যাল সেক্টর) মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘প্রত্যেকটি আশ্রয়ে বিনামূল্যে থাকেন গৃহহীনরা। তাঁদের কাছ থেকে কোনও টাকা নেওয়া যাবে না। একটি স্বেচ্ছাসেবি সংস্থা নিয়ম মানেনি বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এবার থেকে প্রতিটি ‘শেল্টারে’ সারপ্রাইজ ভিজিট করা হবে। কোনওরকম আইন বিরুদ্ধ কাজ হলে তা বরদাস্ত করবে না কলকাতা পুরসভা।’
এদিকে কলকাতায় মোট ১২টি আশ্রয়ের মধ্যে বেশ কয়েকটিতে এখনও ঘর খালি। এখানে তিনটি ‘শেল্টার’ আবাসন নারী শিশু কল্যাণ দফতর দেখে। গ্যালিফ স্ট্রিট, ১৯বি চেতলা রোডে এবং নর্দার্ন পার্ক—তিনটি জায়গার শেল্টার। ঘর খালি আছে তিনটিতেই। অন্যদিকে কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, গ্যালিফ স্ট্রিটে ৪০ জন গৃহহীনের থাকার ব্যবস্থা আছে। সেখানে রয়েছে ২৯ জন। ১৯বি চেতলা রোডে ৮৩ জনের জায়গায় রয়েছে ৮৩ জন। নর্দার্ন পার্কে ৪০ জনের থাকার জায়গা থাকলেও আছে ৩০ জন। এই বিষয়ে মেয়র পারিষদের বক্তব্য, ‘শহরের জনপ্রতিনিধিরা তাঁদের এলাকার গৃহহীনদের এখানে পাঠান। এখানে গৃহহীনদের যদি কোনও অসুখ করে তার চিকিৎসারও ব্যবস্থা রয়েছে।’