ওই এজেন্টের নাম গোপালচন্দ্র দাস। ওই এজেন্ট সিবিআইকে জানিয়েছে, চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তোলায় ছিল তাঁর কাজ। সেই টাকা তুলে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত নীলাদ্রি ঘোষকে দিতেন তিনি। বয়ানে ওই এজেন্ট দাবি করেছেন, ওই সমস্ত প্রার্থীদের অনেককেই এসএসসিতে ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল।
সিবিআইয়ের স্ক্যানারে মৎস্য দফতর। প্রতীকী ছবি
মৎস্য দফতরেও নিয়োগে অনিয়ম! এমনই তথ্য পেয়েছে সিবিআই। ইতিমধ্যে শিক্ষক নিয়োগ এবং পুরসভায় নিয়োগে অনিয়ম খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ফলে এবার সেই তালিকায় নাম জুড়ল মৎস্য দফতরের। এক এজেন্টের বয়ান থেকে মৎস্য দফতরে নিয়োগে অনিয়মের সন্ধান পেয়েছে সিবিআই। ওই এজেন্টকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই জানতে পেরেছে, বেশ কিছু প্রার্থীকে মৎস্য দফতরের ভুয়ো নিয়োগপত্র হয়েছে। ফলে এবার সিবিআইয়ের আতস কাঁচের তলায় মৎস্য দফতর।
সিবিআই সূত্রে খবর, ওই এজেন্টের নাম গোপালচন্দ্র দাস। ওই এজেন্ট সিবিআইকে জানিয়েছে, চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তোলায় ছিল তাঁর কাজ। সেই টাকা তুলে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত নীলাদ্রি ঘোষকে দিতেন তিনি। বয়ানে ওই এজেন্ট দাবি করেছেন, ওই সমস্ত প্রার্থীদের অনেককেই এসএসসিতে ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল। তাদের গ্রুপসিতে নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়েছিল। আবার অনেকেই মৎস্য দফতরের ভুয়ো নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়েছিল। গোপাল চন্দ্র মোট ৩৫ জন প্রার্থীর কাছে টাকা তুলেছিলেন। সেই টাকার পরিমাণ ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। সেই সমস্ত টাকা সংগ্রহ করে তিনি নীলাদ্রি ঘোষকে দিয়েছিলেন। সিবিআই আরও জানতে পেরেছে, যারা মৎস্য দফতরে ভুয়ো নিয়োগ পেয়েছিলেন। তারা ১০ মাস চাকরি করেছিলেন। এমনকী বেতনও পেয়েছিলেন। পরে অবশ্য তাদের চাকরি চলে যায়। তবে চাকরি চলে গেলেও সিবিআইয়ের আতস কাঁচের তলায় মৎস্য দফতরের আধিকারিকরা।