ফেব্রুয়ারি মাসে একইভাবে দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়ে অরিজিৎ দে নামে ২৬ বছরের এক যুবক আত্মহত্যা করেছিলেন। তাঁর বাড়ি ছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায়। যদিও পরে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছিল। এবার আবার দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে ঝাঁপ দেওয়ার ঘটনা ঘটল।
দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক যুবক। ছবি (সৌজন্য ফেসবুক)
গঙ্গায় ঝাঁপ দেওয়ার ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল শনিবার সকালেও। দ্বিতীয় হুগলি সেতুকে এবারও বেছে নেওয়া হল। আর সেখান থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক যুবক। এই ঘটনায় এখন আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। আজ, শনিবার সকালে বিদ্যাসাগর সেতু থেকে ঝাঁপ দেন এক যুবক। বয়স আনুমানিক ২৫ বছর হবে বলে পুলিশ মনে করছে। তবে ঘটনা দ্রুত নজরে আসায় শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। ফেব্রুয়ারি মাসেও হুগলি সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন এক যুবক। পরে দেহ উদ্ধার হয়েছিল।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, আজ শনিবার সকালে বিদ্যাসাগর সেতুতে মোটরবাইকে করে যাচ্ছিলেন যুবক মহম্মদ আরিফ আনসারি। কিছুদূর যাওয়ার পর সেতুতে মোটরবাইক থামান তিনি। তারপর চারিদিক ভাল করে দেখে ফাঁকা সেতুর ধারে গিয়ে রেলিং ধরে কিছুক্ষণ ঝুলন্ত অবস্থায় ছিলেন। যুবককে ওই অবস্থায় দেখে স্থানীয় কয়েকজন তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করেন। আর দ্রুত খবর দেওয়া হয় হেস্টিংস থানার পুলিশকে।
তারপর ঠিক কী ঘটল? ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় হেস্টিংস থানার পুলিশ। ততক্ষণ নানা কথা বলে যুবককে আটকে রাখা হয়েছিল। পুলিশ পৌঁছে যুবককে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে ব্যর্থ হন পুলিশকর্মীরা। কারণ পুলিশের সঙ্গে কথা বলার সময়ই হঠাৎ সেতু থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে দেন ওই যুবক। তড়িঘড়ি তাঁর খোঁজে উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়েছে। যুবকের খোঁজ পেতে জোরদার তল্লাশি শুরু হয়েছে। পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই যুবকের বাড়ি কাঁকুড়গাছি এলাকায়। পারিবারিক অশান্তির জেরেই ওই যুবক এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন। তবে কি নিয়ে অশান্তি তা জানা যায়নি।