তাঁকে মঞ্চে তুলে প্রশংসা করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার যিনি মঞ্চে প্রশংসিত হয়েছিলেন তাঁর হাত ধরেই গ্রাম পঞ্চায়েত পেল বিশেষ স্বীকৃতি। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দ অর্থ সঠিকভাবে সম্পূর্ণ খরচ করতে পেরেছেন তিনি। একাধিক প্রকল্প রূপায়ণ করেছে গোলাড় গ্রাম পঞ্চায়েত তাঁর নেতৃত্বেই। এবার সেই গ্রাম পঞ্চায়েতকে পুরস্কৃত করল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই গ্রাম পঞ্চায়েতের তৎকালীন সদস্য মঞ্জু দলবেরাকে মঞ্চে তুলে প্রশংসা করেছিলেন অভিষেক। এখন মঞ্জু দলবেরা গোলাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। তাই অনেকে বলছেন, জহুরি অভিষেক হীরে চিনতে ভুল করেননি।
গতকাল জেলাশাসকের কার্যালয়ে ভাল কাজ করার জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশাপাশি ব্লকগুলিকেও পুরস্কৃত করা হয়। জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি–সহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পঞ্চায়েত প্রধান মঞ্জু দলবেরার হাতে ভাল কাজের জন্য পুরস্কার তুলে দেন স্বয়ং জেলাশাসক। কেশপুর ছাড়াও কেশিয়াড়ি ব্লকের ঘৃতগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত এবং কুসুমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত, মেদিনীপুর সদর ব্লকের ধেড়ুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত, মোহনপুর ব্লকের মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েত, দাঁতনের দাঁতন ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতকেও পুরস্কৃত করা হয়েছে। সবদিক থেকে গড়বেতা ৩ নম্বর ব্লক ২০২৪–২৫ অর্থবর্ষে পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।
আরও পড়ুন: হলদিয়ার একাধিক শিল্পসংস্থার সম্প্রসারণ, ১০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ বার্তা মন্ত্রীর
পঞ্চায়েত প্রধান মঞ্জু দলবেরা শুধু কাজ করে গিয়েছেন। তবে সেই কাজের জন্য যে পুরস্কার আসবে সেটা ভাবেননি। মানুষের উপকারে কাজ করে গিয়েছেন। তবে পুরস্কার পেয়ে মঞ্জু দলবেরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি। এদিন মঞ্জু দলবেরা বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমার উপর ভরসা রেখেছিলেন। আমি সেই ভরসার পূর্ণ মর্যাদা রাখার চেষ্টা করেছি। আগামী দিনে আমি আরও ভাল কাজ করব। জেলাশাসক এবং রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন আমার গ্রাম পঞ্চায়েতকে আরও বেশি করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হোক। তাহলে মানুষের জন্য কাজ করতে পারব।’
সালটা ছিল ২০২৩। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের আনন্দপুরের জনসভাতে হাজির হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেশপুর ব্লকের গোলাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের তৎকালীন পঞ্চায়েত সদস্য মঞ্জু দলবেরাকে মঞ্চে ডেকে ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। ওই সভায় অভিষেক বলেছিলেন, ‘এরাই হচ্ছে কেশপুরের সৎ এবং একনিষ্ঠ তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। তার সঙ্গে পঞ্চায়েতে মানুষের সেবক।’ এবার জেলা পরিষদের সভাধিপতি প্রতিভা মাইতি বলেন, ‘নতুন অর্থবর্ষে কাজের গতি আরও বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাজের পরিমাণ এবার আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।’