বাংলায় কেউ কেউ আগুন জ্বালাতে চাইছে। আবার কিছু অযোগ্যের জন্য সকলের চাকরি খেয়ে নেওয়া ঠিক নয়। আজ, শনিবার এই ভাষাতেই অবশেষে মুখ খুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিকে মুর্শিদাবাদ, জঙ্গিপুর, সূতি এবং সামশেরগঞ্জ জ্বলছে। অপরদিকে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক–শিক্ষাকর্মীরা চাকরিহারা হয়েছেন। এই আবহে অভিষেকের মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তবে গুজবে কান না দিয়ে শান্তির বার্তা দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বিজেপির বৈমাতৃসুলভ আচরণের একটা প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছেন তিনি।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যে এখন সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য–রাজনীতি। কারণ চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। তারপরও এই নিয়ে একাংশ চাকরিহারারা আন্দোলন করে চলেছেন। এই আবহে আজ, শনিবার অভিষেক বলেন, ‘বাংলায় কেউ কেউ আগুন লাগানোর চেষ্টা করছে। উন্নয়নের প্রশ্নে আমাদের রাজনৈতিকভাবে পরাজিত করতে না পেরে এখন অনেকেই ধর্মের নামে বিভাজন সৃষ্টি করছে। আর বাংলায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। সকলকে অনুরোধ করব, বাংলা কৃষ্টি, শান্তি, শৃঙ্খলা, সম্প্রীতি যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে, সে ব্যাপারে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
আরও পড়ুন: চা–শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ঠিক করতে বিশেষজ্ঞ কমিটি, পিএফ অফিস ঘেরাওয়ের ডাক ঋতব্রতর
আজ, শনিবার জগন্নাথ ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সের অ্যান্ড হসপিটালের অনুষ্ঠানে আসেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই এই দুটি ইস্যু নিয়ে মন্তব্য করলেন তিনি। তবে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের বক্তব্যের সঙ্গে অনেকটা মিল রয়েছে অভিষেকের। তবে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক–শিক্ষাকর্মী। এটা নিয়েই অভিষেকের বক্তব্য, ‘আমরা সুপ্রিম কোর্টকে সম্মান করি, মর্যাদা দিই। বিশ্বাস করি বিচারব্যবস্থা নিরপেক্ষ এবং মাথানত করেনি। কিন্তু কোনও রায় পছন্দ না হলে সেই রায়ের সমালোচনা করার অধিকার সংবিধান ভারতবর্ষের প্রতিটি নাগরিককে দিয়েছে।’
এছাড়া অভিষেকও চাকরিহারাদের পাশে থাকার কথা বলেছেন। তার সঙ্গে বিজেপিকে তোপ দেগেছেন। এই রায়ের পিছনে সিপিএম–বিজেপির হাত আছে বলে আগে তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘এই রায়ের মাধ্যমে কোথাও আমার মনে হচ্ছে বিজেপি বৈমাতৃসুলভ আচরণের একটা প্রতিফলন দেখতে পেয়েছি। যদি অযোগ্য কেউ চাকরি পেয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত হোক, তাঁর থেকে টাকা ফেরত চাওয়া হোক, জেলে পাঠান। কিন্তু কিছু অযোগ্য লোকের জন্য আপনি প্রায় ১৬–১৭ হাজার যোগ্যের চাকরি কেড়ে নিতে পারেন না। আমি বিজেপির ধারাবাহিকতা দেখছি। একজন ভুল করেছে, সবারটা বাতিল করে দাও। ঠিক যেমন কিছু জব কার্ডে ভুল আছে বলে সবার টাকা বন্ধ করে দেওয়া ঠিক না, তেমনই কিছু মানুষ অযোগ্য বলে সবার চাকরি বাতিল করে দেওয়া ঠিক না।’