এটিএম থেকে বিপুল টাকা লুঠ করে জঙ্গলে ঢুকে গেল ডাকাতদল। দুষ্কৃতীদের দীর্ঘপথ তাড়া করেছিল ডাকাতদল। কিন্তু তারপরেও তাদের খোঁজ পায়নি পুলিশ। তবে পুলিশ তাদের দামি গাড়ির খোঁজ পেয়েছে। কিন্তু তাদের কোনও খোঁজ মেলেনি। তারা গজলডোবার জঙ্গলে ঢুকে গিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে। ইতিমধ্যেই তাদের খোঁজে ড্রোন নিয়ে তল্লাশিতে নেমেছে পুলিশ।
জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি এলাকায় একেবারে ভয়াবহ ঘটনা। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম লুঠ করে চম্পট দেয় ডাকাতদল। এটিএমে কোনও প্রহরী ছিল না। সেই সুযোগে তিন চারজন দুষ্কৃতী এটিএমে লুঠপাট চালায়। এদিকে ওই বাড়ির মালিক বুঝতে পারেন যে এটিএমে লুঠপাট চলছে। তিনি ময়নাগুড়ি থানায় খবর দেন।
এদিকে এরপরই পুলিশ সতর্ক হয়ে যায়। এটিএমের সামনে পুলিশ গিয়ে জানতে পারে যে গাড়ি নিয়ে চম্পট দিয়েছে ডাকাত দল। পুলিশ জানতে পারে বৈকুণ্ঠপুরের দিকে পালিয়েছে । এরপরই পুলিশ বিভিন্ন রাস্তায় ব্যারিকেড তৈরি করে।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে পুলিশ তাড়া করছে এটা বুঝতে পেরেই দুষ্কৃতীরা জঙ্গলের ধারে গাড়িটি ফেলে হেঁটে জঙ্গলের মধ্যে চলে যায়। এরপর পুলিশ ড্রোন উড়িয়ে সেই দুষ্কৃতীদের খোঁজ করছে।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে দুটি এটিএম থেকে প্রায় ৫৪ লাখ টাকা লুঠ করা হয়েছে। শনিবার সকালে পুলিশ একটি গাড়িকে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে চলে যেতে দেখেছিল। পুলিশ গাড়িটিকে আটকানোর চেষ্টা করে। রাস্তায় ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু গাড়িটি গজলডোবার কাছে রেখে দুষ্কৃতীরা জঙ্গলের ভেতরে চলে যায়। পুলিশ গাড়িটিতেও তল্লাশি চালিয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত ওই জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে কীভাবে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে গেল তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। তারা জঙ্গলের মধ্য়েই রয়েছে নাকি পালিয়ে গেল, লুকিয়ে পড়ল কোনও বনবস্তিতে সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।