এখানে মেশিন দিয়ে পাথর খোদাই করতে হয়েছে। প্রজেক্ট ডিরেক্টরের দাবি, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন হতে পারে। সমস্ত সমস্যা অতিক্রম করে এখন সব টানেলেরই কাজ এগিয়ে চলেছে। এই গুহাপথ ধরে বাংলা–সিকিমের রেল যোগাযোগে চালু হওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র। পর্যটকরা আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন।
টানেলে এডিট নির্মাণ কাজ
বাংলায় সাফল্য পেল ভারতীয় রেল। সেবক–রংপো রেলপথে ৮টি টানেলে এডিট নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এখানের ৪৫ কিমি পথে ১৪টি সুড়ঙ্গ পার করবে ভারতীয় রেল। উত্তরাখণ্ডে সুড়ঙ্গ খুড়তে গিয়ে ১৭ দিন আটকে ছিলেন শ্রমিকরা। অবশেষে উদ্ধার হয়েছেন ৪১ শ্রমিক। তবে এখানে সাফল্যের সঙ্গেই কাজ চালানো হচ্ছে। পাহাড় কেটে সুড়ঙ্গ পথে ধীর গতিতে এগোচ্ছেন শ্রমিকরা। সেবক–রংপো রেলপথে দ্রুতগতিতে কাজ চলছে বলে খবর। এই কাজ যাতে সুচারুভাবে সম্পন্ন করা যায় তার জন্য বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে সেভক থেকে রংপো যেতে পাহাড়ের ভিতর দিয়ে গুহার মধ্যে একাধিক টানেল পেরিয়ে ছুটবে ট্রেন। প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হয়েছে। তাই রংপো থেকে নাথুলা পৌঁছে যাবে ট্রেন। এই ঘটনা ঘটলে তা হবে দুর্দান্ত। সীমান্তে পৌঁছে দেওয়া যাবে রসদ এবং সেনাবাহিনীও। ১৪টি সুড়ঙ্গপথ গড়ে তুলতে সিমেন্ট দিয়ে সাপোর্ট দিতে হচ্ছে গুহাপথে। এনএটিএম পদ্ধতি ব্যবহার করে এগোচ্ছে কাজ। কারণ এভাবে না এগিয়ে দ্রুত এগোতে গেলেই বিপদ ঘটবে।
অন্যদিকে গোটা বিষয়টি নিয়ে প্রজেক্ট ডিরেক্টর জানান, এখানে কঠিন ছিল টানেল ১ –এর কাজ। এই লম্বা ট্যানেল যেখানে তৈরি হচ্ছে সেখানকার মাটি বালি মাটি। তাই ধসের সম্ভাবনা থাকে। এটা মাথায় রেখেই কাজ করতে হয়েছে। এখম ট্যানেলে এডিট নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। শ্রমিকরা এখানে বিপদে পড়লে যাতে উলটো দিক দিয়ে বের হতে পারেন সেই পথকেই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ভাষায় বলা হয় এডিট। আগামী দিনে রেল শুরুর পাশাপাশি এই পথেই গুহার ভিতর ঢুকবে অ্যাম্বুলেন্স এবং উদ্ধারকারী দল। সতর্কতা মেনে সাফল্যের সঙ্গে কাজ এগিয়ে চলেছে।
এখানে মেশিন দিয়ে পাথর খোদাই করতে হয়েছে। প্রজেক্ট ডিরেক্টরের দাবি, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন হতে পারে। সমস্ত সমস্যা অতিক্রম করে এখন সব টানেলেরই কাজ এগিয়ে চলেছে। এই গুহাপথ ধরে বাংলা–সিকিমের রেল যোগাযোগে চালু হওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র। এখান দিয়ে গিয়ে পর্যটকরা আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন। আবার দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে এই প্রকল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চীনা সীমান্তে নাথুলা পর্যন্ত এভাবেই এগিয়ে যাবে রেলপথ নির্মাণ। তাই সকলের নজর এই প্রকল্পের উপর রয়েছে। বাধা হটিয়ে কাজ এগিয়ে চলায় উৎসাহিত রেল কর্তারা।