পাথরপ্রতিমার ঢোলাহাট। যেখানে বিস্ফোরণ কাণ্ডে একসঙ্গে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। শিশু থেকে মহিলা কেউ বাদ যাননি। ওই বাজি কারখানা যে অবৈধ তা প্রশাসনকে এই ঘটনার পর জানিয়েছিলেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। তারপর নবান্ন থেকে নির্দেশ আসে, তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে হবে। আর আজ, বুধবার নবান্নে জমা পড়ল ঢোলাহাটের বিস্ফোরণ সংক্রান্ত রিপোর্ট। যেখানে গ্রামবাসীদের অভিযোগ সত্যি বলেই জানিয়ে দিল জেলাশাসকের তদন্ত রিপোর্ট।
এই ঘটনার পরই জেলাশাসককে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেয় নবান্ন। সরকারি রিপোর্টে উঠে এল, অবৈধভাবেই চলছিল ঢোলাহাটে বণিক পরিবারের বাজি কারখানা। শুধু তাই নয়, সরকারি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, এই বাজি কারখানার লাইসেন্স আগেই বাতিল হয়ে গিয়েছিল। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বণিকদের এই বাজি কারখানার লাইসেন্স বাতিল করে দেয় জেলা প্রশাসন। তখন কিছুদিন তারা চুপ করে ছিল। তারপর কালের গতিতে মানুষের স্মৃতির আড়ালে বিষয়টি যেতেই অবৈধ পথে এই বাজি কারখানা আবার চালু হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: মদন তামাং হত্যা মামলায় চাপে বিমল গুরুং, সুপ্রিম কোর্টে জোর ধাক্কা খেল গোর্খা নেতা
পাড়া–পড়শিদের বলা হয়েছিল, আবার লাইসেন্স ফিরে পেয়েছে তারা। কিন্তু অনেকেই তা বিশ্বাস করেননি। উলটে খোঁজ নিয়ে দেখেছিলেন কজন স্থানীয় গ্রামবাসী ওই কথা বণিকরা যা বলছে তা সর্বৈব মিথ্যে। তখন নানা জায়গায় অভিযোগ দায়ের করলেও কাজ হয়নি। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ঢোলাহাটের এক গ্রামবাসী বলেন, ‘তখন পদক্ষেপ নিলে আজকে এই দিন দেখতে হতো না।’ এই বাজি কারখানা চালু করার জন্য আবার লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে বণিকরা। কিন্তু আর তা ইস্যু করা হয়নি। নবান্নে বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই ঘটনায় রিপোর্টে সবটাই তুলে ধরে জমা দিলেন জেলাশাসক বলে সূ্ত্রের খবর।