সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশ। এপারে ভারত। বাংলাদেশে এখন অস্থির পরিস্থিতি। আর বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক এখন বেশ মধুর। দু’দেশের মধ্যে নানা বৈঠকও হয়েছে। এই আবহে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই ভারতে নাশকতা ঘটাতে পারে বলে গোপন সূত্রে খবর পেয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এমনকী বাংলার পুলিশও এই সংক্রান্ত অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের থেকে পেয়ে চাপে পড়ে গিয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ অ্যালার্ট পেয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে বলে সূত্রের খবর। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই জঙ্গি সংগঠনকে দিয়ে এই কাজ করাতে চাইছে। নাশকতামূলক কাজ করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর মিলেছে।
দেশের অন্যান্য প্রান্তের পাশাপাশি বাংলায় এখন নাশকতা করার ছক কষা হয়েছে। একইসঙ্গে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়ে গোলমাল পাকানোর পরিকল্পনাও রয়েছে। আসলে আইএসআই–এর মূল লক্ষ্য, ভারতে অঞ্চল ভিত্তিক অচলাবস্থা তৈরি করা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছ থেকে রিপোর্ট পেয়েই সক্রিয় হয়ে উঠেছে রাজ্যের গোয়েন্দা দফতর। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ থেকে অবৈধ পথে ঢুকে পড়া জঙ্গিদের এপার বাংলার পুলিশ বারবার ধরে ফেলেছে। শুধু তাই নয়, আইএসআই–এর মদতে কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী এপারে ঢুকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই এই রিপোর্ট প্রত্যেকটি জেলার পুলিশ সুপারকে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘চাকরিহারাদের বিষয়টি মনিটর করবে টাস্ক ফোর্স’, মুখ্যমন্ত্রীর পদক্ষেপ জানালেন কুণাল
এই রিপোর্ট পাওয়ার পরই তৎপর হয়েছে জেলা পুলিশ। পুলিশ সুপারের পাশাপাশি এই রিপোর্ট পুলিশ কমিশনাররাও পেয়েছেন বলে সূত্রের খবর। তাই সীমান্ত ঘেঁষা যে জেলা গুলি রয়েছে সেখানে বাড়তি নজরদারি শুরু হয়েছে। এখন বাংলাদেশকে ঢাল করে এপারে ঢুকতে চাইছে আইএসআই মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন। তারপর নাশকতা ছড়িয়ে দেওয়াই তাদের লক্ষ্য। সেক্ষেত্রে বহু মানুষের প্রাণ যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন ঘটনা যাতে না ঘটে তাই আগাম সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিএসএফ’কেও সতর্ক করা হয়েছে। এখানে যখন কোনও আন্দোলন হবে তাতে মিশে গিয়ে নাশকতা করতে পারে জঙ্গিরা বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজ্যের গোয়েন্দা দফতর সূত্রে খবর, কদিন আগেই এই অ্যালার্ট এসেছে। সেই মতো কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই সমস্ত ছক বানচাল করতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। আরও নজরদারি বাড়ানো হবে। মুর্শিদাবাদ, বনগাঁ, বারাসত–সহ বেশ কয়েকটি জেলা আছে যেগুলি সীমান্ত বাংলাদেশ ঘেঁষা। তাই সেখান দিয়ে জঙ্গিরা ঢুকে ভারতের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়তে চাইছে। সেক্ষেত্রে বাংলা এখন বেশ চাপের মধ্যে রয়েছে। নদিয়া, মালদার কিছু অংশ আছে যেখানে কাঁটাতার নেই। তাই সেখানে বাড়তি নজরদারি রাখা হচ্ছে।