এবার চোপড়ায় ঘটে গেল আসামী ছিনতাইয়ের ঘটনা। দেড় মাসের মধ্যে আবার উত্তর দিনাজপুরে পুলিশের হাত থেকে আসামীকে ছিনতাই করে নিল উত্তেজিত জনতা। আজ শনিবার দুপুরে এই আসামী ছিনতাইয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধে যায় চোপড়ার গ্রামে। তখন পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ। এই ঘটনার জেরে এখন ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে পলাতক অস্ত্র আইনের আসামী এলাকায় বেশ প্রভাবশালী। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার কালকাপুরের ঘটনা রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে।
এদিকে পুলিশের গাড়ি আটকে অভিযুক্ত আসামীকে ছিনিয়ে নিয়ে যান এলাকার উন্মত্ত জনগণ। এই ঘটনা যখন ঘটে তখন গ্রামবাসীদের সঙ্গে পুলিশের তুমুল ধস্তাধস্তিও হয় বলে অভিযোগ। ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়া অভিযুক্ত আসামীর নাম মুজিবুর রহমান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশের বিশাল বাহিনী। পৌঁছন চোপড়া থানার আইসি সুরজ থাপাও। তবে অভিযুক্তের খোঁজে এখন এলাকায় তল্লাশি শুরু হয়েছে। এই মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে মাদক পাচার থেকে শুরু করে অস্ত্র পাচারের অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘ভূতুড়ে ভোটার’ ধরতে পথে নামল তৃণমূল কংগ্রেস, মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্রে প্রত্যেকের দুয়ারে মেয়র
অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, অস্ত্র আইনের মামলায় আজ শনিবার দুপুরে মুজিবরকে গ্রেফতার করতে তার বাড়িতে যায় চোপড়ার পুলিশ। আর মুজিবুরের বাড়িতে গিয়েই ঘিরে ফেলে। কিন্তু সেটা বুঝতে পেরে পুলিশের চোখে ধূলো দিয়ে বাড়ির পিছন দিয়ে বাঁশবন টপকে পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে চম্পট দেয় মুজিবুর। তখন পুলিশকে এলাকার সাধারণ মানুষের বাধার মুখে পড়ে যায়। ওই এলাকার মহিলারা পুলিশকে ঘিরে ফেলে সরকারি কাজে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। বেশ কিছুদিন ধরে গা–ঢাকা দিয়েছিল এই মজিবুর। কদিন আগে গ্রামে ফিরে আসে এই মাদক–অস্ত্র পাচারকারী। সেই খবর গোপন সূত্রে পৌঁছয় যায় পুলিশের কাছ। তাই মুজিবুরকে ধরতে গ্রামে আসে পুলিশ।
এছাড়া মুজিবুরকে পুকুর থেকে তুলে ধরে ফেলে পুলিশ। পুলিশ তারপর প্রিজন ভ্য়ানে তোলার চেষ্টা করতেই আবার পিঠটান দেয় মুজিবুর। তখন স্থানীয় মহিলারা তার ‘ঢাল’ হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে বলে খবর। তারপর ধানখেত ধরে ছুটতে থাকে মুজিবুর। পুলিশও তাড়া করে তাকে গ্রেফতার করে এবং প্রিজন ভ্যানে তোলে। তখন গ্রামবাসীদের একাংশ পুলিশের গাড়ির সামনে পথ আটকে দাঁড়ান। আর অভিযুক্ত আসামীকে পুলিশের গাড়ি থেকে বেরিয়ে পালাতে সাহায্য করে দেন। পুলিশ বাধা দিলে শুরু হয় তুমুল ধস্তাধস্তি। তাতেই পালিয়ে যায় আসামী মুজিবুর।