তৃণমূল কংগ্রেসে আজ শোকের ছায়া নেমে আসে। কারণ নদিয়ার কালীগঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদ প্রয়াত হয়েছেন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই দলের কর্মী–সমর্থক থেকে শুরু করে আত্মীয়স্বজন, পরিবারের সদস্যরা এবং সাধারণ মানুষ চোখের জল ফেলতে শুরু করেছে। শনিবার বেশি রাতে অসুস্থবোধ করলে তাঁকে পলাশি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি ইহলোকের মায়া ত্যাগ করে পরলোকগমন করেন। তখন থেকেই শোকের ছায়া নেমে আসে।
পলাশি হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদ। মৃত্যুকালে নাসিরুদ্দিন আহমেদের বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। তাঁর মৃত্যুতে শোকের আবহ তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। রাজ্য–রাজনীতির ময়দানে ‘লাল’ নামেই পরিচিত ছিলেন নাসিরুদ্দিন। তাঁর এক পুত্র ও দুই কন্যা আছেন। বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদ দীর্ঘ লড়াই–সংগ্রাম করে রাজ্য–রাজনীতিতে নিজের জায়গা পাকা করেছিলেন। এই নদিয়ার মানুষের কাছে আপনজন ছিলেন। মানুষের সবসময় উপকার করতেন তিনি। বলা হয়, তিনি খালি হাতে কাউকে ফেরাতেন না।
আরও পড়ুন: সাবিত্রী মিত্রের গাড়িতে প্রাণঘাতী হামলার অভিযোগ, সন্দেহভাজনের খোঁজে তল্লাশি পুলিশের
২০১১ সালে নাসিরুদ্দিন আহমেদ প্রথমবার তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হন। পেশায় তিনি আইনজীবী ছিলেন। কিন্তু ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস–সিপিএম জোটের প্রার্থী শেখ হাসানুজ্জামানের কাছে হেরে যান। পরে অবশ্য সেই হাসানুজ্জামান তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। ২০২১ সালের টাফ ফাইট বিধানসভা নির্বাচনে আবার টিকিট পেয়ে কালীগঞ্জ থেকে বিধায়ক হন নাসিরুদ্দিন আহমেদ। আর শনিবার রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি তাঁকে পলাশি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বিধায়ক।
২০২৬ সালে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন আছে। আর তার একবছর আগেই কালীগঞ্জ বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদ প্রয়াত হলেন। এই ঘটনা রাজ্য নেতৃত্বের কাছেও পৌঁছে গিয়েছে। দলের কাছে তাই আজ, রবিবার শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নাকাশিপাড়ার বিধায়ক কল্লোল খাঁ এই বিষয়ে বলেন, ‘বিকেলে লালের সঙ্গে কথা হয়েছিল টেলিফোনে। তখনও তো ওঁর শরীর ভাল ছিল বলেই জানতাম। কিন্তু এখন শুনলাম সব শেষ হয়ে গিয়েছে। বিশ্বাস করতে পারছি না যে লাল আমাদের মধ্যে নেই। ওঁর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আর রাজনৈতিক পথ চলা হবে না।’