বাংলাদেশে এখনও অস্থির পরিবেশ পুরোপুরি থামেনি। হিন্দুদের উপর হিংসা হচ্ছে বলে অভিযোগ। তাই কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে বিএসএফের চোখে ধূলো দিয়ে এপারে চলে আসার ছক করেছে অনেকে। এই অবৈধ অনুপ্রবেশ করে অনেকে যেমন ধরা পড়েছে তেমন আবার অনেকে গা–ঢাকা দিয়েছিল বলেও অভিযোগ। এবার বাংলাদেশ থেকে মুর্শিদাবাদে অনুপ্রবেশ করা তিন বাংলাদেশি এবং এক ভারতীয় দালালকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক আলোড়ন পনে গিয়েছে। কারণ গ্রেফতার যারা হয়েছে তাদের মধ্যে একজন পদ্মাপারের মহিলাও আছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই তিনজন বাংলাদেশের নাগরিক ভারতের দালালের হাত ধরেই এপার বাংলায় এসেছে। ওই ভারতীয় দালালকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার বেশি রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে এই তিনজন বাংলাদেশি নাগরিক এবং এক ভারতীয় দালালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মুর্শিদাবাদের রানিনগরের হারুডাঙা গ্রামের কালীমন্দির এলাকা থেকে সকলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। ধৃত বাংলাদেশি মহিলার নাম প্রকাশ্যে আনতে চায়নি পুলিশ। তবে কোন পথে বাংলায় প্রবেশ সেটা জানতে চায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতিকেও সময়সীমা বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট, তিন মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বিল নিয়ে
এদিকে গ্রেফতার হওয়া ভারতীয় দালালের নাম সরিফুল ইসলাম শেখ। রানিনগরের শিবনগরের বাসিন্দা সে। আর গ্রেফতার হওয়া তিন বাংলাদেশি নাগরিকের নাম জামশেদ আলি, মহম্মদ বাবু, আকমল হোসেন। প্রত্যেকের বয়স ২৭ বছর। এখানে জামশেদ আলির বাড়ি বাংলাদেশের চাপাই নবাবগঞ্জ জেলার ধুলাউড়ি গ্রামে। বাকি দু’জনের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাই নবাবগঞ্জের নাজিপুরে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এরা অবৈধ পথে দালালের সাহায্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢোকে। পাসপোর্ট, ভিসা এবং বৈধ কোনও নথিই দেখাতে পারেনি তারা।
অন্যদিকে এই বিষয় নিয়ে পুলিশের দাবি, অনুপ্রবেশকারীরা জেরায় জানিয়েছে, ভারতীয় দালালের সাহায্যে তারা বাংলাদেশ থেকে এপারে এসেছে। শিবনগরের সরিফুল ইসলামের সহায়তায় অনুপ্রবেশ করেছিল তারা। এই সরিফুল ইসলাম শেখ রীতিমতো তাদের বাড়িতে থাকতে দেয়। আবার অন্যত্র যেতেও সাহায্য করেছে। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। এরা কাজ খুঁজতে এপারে এসেছিল বলে পুলিশকে জেরায় জানিয়েছে। এদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এদেরকে আজ, শনিবার আদালতে তোলা হয়েছে। এই অনুপ্রবেশের পিছনে বড় কোনও চক্র আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।