লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ঢুকছে পুরুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে, সঙ্গে বার্ধক্যভাতাও পাচ্ছেন তিনি। যদিও তাঁর বয়স ৬০এর কম। বেনজির বেনিয়মের এই ঘটনায় গড়বেতায় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গড়বেতা ৩ নম্বর ব্লকের বিডিয়োর করা অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয়েছেন গোরাচাঁদ কুণ্ডু নামে ওই ব্যক্তি। তবে পরিবারের দাবি, কী করে টাকা গোরাচাঁদবাবুর অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে তা জানানে না তিনি।
আরও পড়ুন - রোজভ্যালি কর্তা গৌতম কুন্ডুর জামিন, আমানতকারীরা কি টাকা ফেরত পাবেন?
পড়তে থাকুন - এবার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গেল মমতার সরকার, কারণটা কী?
গড়বেতা ৩ নম্বর ব্লকের সাতবাঁকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তুঁতবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা সত্তর বছরের বৃদ্ধা ভারতী পাল অভিযোগ করেন, তিন বছর আগে বার্ধক্যভাতা প্রকল্পের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু এক টাকাও পাননি তিনি। টাকা ঢুকেছে গ্রামের বাসিন্দা গোরাচাঁদ কুণ্ডুর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেন বিডিও দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য। তদন্তে উঠে আসে, শুধু বার্ধক্যভাতা নয়, পুরুষ হয়েও ৩ বছর ধরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাচ্ছেন গোরাচাঁদবাবু। এর পর তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন বিডিও। পুলিশের কাছে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। বিডিওকে এই ঘটনার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদেরি।
কী করে মহিলাদের জন্য নির্দিষ্ট প্রকল্পের টাকা দিনের পর দিন একজন পুরুষের অ্যাকাউন্টে ঢুকল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে, প্রশাসনের কর্মীদের প্রত্যক্ষ মদত ছাড়া কি এটা সম্ভব? তাছাড়া ৬০ বছরের কম বয়সী কোনও ব্যক্তি বার্ধক্য ভাতাই বা পেলেন কী করে? কী করে একই ব্যক্তি পেলেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ও বার্ধক্য ভাতা?
আরও পড়ুন - রাতে নৌকায় ঘুমিয়ে থাকার সময় ভয়ঙ্কর কাণ্ড, মৎস্যজীবীকে টেনে নিয়ে গেল বাঘ
ওদিকে গোরাচাঁদ কুণ্ডুর পরিবারের দাবি, এব্যাপারে বিন্দু - বিসর্গ জানেন না তিনি। টাকা যে তাঁর অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে তা প্রশাসন জানানোর পর তিনি জানতে পেরেছেন। তখন টাকা ফেরানোর প্রস্তাব দিলেও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রশাসনিক কর্মীদের আড়াল করতেই গোরাচাঁদবাবুকে বলির পাঁঠা করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের।