গঙ্গাসাগর মেলার আবহে জলপথে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার ওপর জোর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আবহে তিনি নৌবাহিনী এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীর ঙ্গে বৈঠকও করেছেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে গঙ্গাসাগরে এবার জেলা পুলিশও বোটে করে পাহারা দেবে বলে জানা গিয়েছে। এই আবহে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'নৌবাহিনী এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীকে বলেছি যাতে ওপার থেকে এদিকে কোনও সমস্যা না হয়। জটলার ওপরও খেয়াল রাখতে হবে। জল, স্থল, আকাশ, সব দিকেই নজর রাখতে হবে। কেউ যাতে কোনও ভাবে ক্ষতি না করতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।' (আরও পড়ুন: আবারও তাপমাত্রা পতনের পূর্বাভাস পশ্চিমবঙ্গে, কলকাতায় কি জাঁকিয়ে শীত পড়বে?)
আরও পড়ুন: সঞ্জয়ের সাজা ঘোষণার আগে নয়া মোড়? আরজি কর নিয়ে এবার নয়া মামলা সুপ্রিম কোর্টে
আরও পড়ুন: রানাঘাটে ভারতের ৫ কিমি জমি কি সত্যি বাংলাদেশের দখলে? বিতর্কের মাঝে মুখ খুলল BSF
উল্লেখ্য, গঙ্গাসাগর মেলার ভিড়কে কাজে লাগিয়ে নদীপথে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে বলে সম্প্রতি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল। রাজ্য পুলিশকে এই নিয়ে চিঠি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও এই নিয়ে সাংবদাদিক বৈঠক করে বলেছিলেন, অনুপ্রবেশকারীরা ধরা পড়লে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। এবার গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে ১৩ হাজার পুলিশকর্মী ও আধিকারিক মোতায়েন করা হয়েছে। মেলা প্রাঙ্গনে ২ হাজার সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। একই সঙ্গে সুন্দরবনের বিভিন্ন নদীবন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রলাগুলির লাইসেন্স পরীক্ষা করছে পুলিশ। তল্লাশি চালানো হচ্ছে ট্রলারে। সমুদ্রে কোনও অচেনা ট্রলার দেখা গেলে খবর দিতে বলা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। এদিকে নৌবাহিনীর তরফে বলা হয়েছিল, 'মেলা চলাকালীন দু’টি হোভারক্রাফ্ট এবং একটি সামরিক জাহাজে নজরদারি চলবে ভারত-বাংলাদেশ জলসীমান্তে।' (আরও পড়ুন: কুলতলি থেকে মাকড়ি নদী পেরিয়েছে বাঘ, সুন্দরবনের রয়্যাল বেঙ্গল এবার কোন পথে?)
আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ হবে ২০০ কোটি টাকা, চাকরি পাবেন হাজার হাজার মানুষ
আরও পড়ুন: হলুদ ট্যাক্সি নামক 'নস্টালজিয়া' বাঁচিয়ে রাখতে সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক, মন্ত্রী বললেন…
আরও পড়ুন: কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের সাথে মিলবে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে, কতদূর হল কাজ?
এদিকে গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চপার হেলিপ্যাড থেকে ওড়ার পর সাগরদ্বীপের উপর বেশ কয়েকবার চক্কর কাটে। এর আগে সাগরদ্বীপের নিরাপত্তায় এবার এরিয়াল সার্ভে রিপোর্ট তৈরি করতে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে নবান্ন থেকে এক বৈঠকে মমতা বলেছিলেন, 'গঙ্গাসাগরের পাশেই কিছুটা বিপজ্জনক এলাকা রয়েছে। নীরবে নজরদারি চালাতে হবে। ওপারে তো আমরা যেতে পারব না। তবে, সতর্ক থাকতে হবে যাতে অবাঞ্ছিত ঘটনা না ঘটে। ওয়াচ টাওয়ার বৃদ্ধি করতে হবে। নজরদারির জন্য ড্রোনের সংখ্যা বৃদ্ধি করুন।' এদিকে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, মমতা চেয়েছিলেন যাতে নৌবাহিনী ড্রোনের মাধ্যমে সাগরদ্বীপের আশেপাশে নজরদারি চালায়। এরই সঙ্গে রাজ্য প্রশাসনকে জলে নজরদারি চালাতে জোর দিতে বলেছেন। বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং ভারত বিদ্বেষ, ওদিকে অনুপ্রবেশের মতো ইস্যুতে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের আবহে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের এই সব পদক্ষেপ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।