বাংলাদেশে ইদের ছুটির জেরে চলতি মাসে পেট্রাপোল-বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ১০ দিন ধরে বন্ধ থাকছে বাণিজ্য। ৫ জুন থেকে থেকে বাণিজ্য বন্ধ রাখা হয়েছে। আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত স্থলবন্দর দিয়ে কোনও ধরনের পণ্য পরিবহণ হবে না বলে বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে। এর ফলে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে BSF-এর পাশে গ্রামের যুবক-মহিলারা, বঁটি-শাবল-কাটারি হাতে..
সাধারণত প্রতি বছর ইদ উপলক্ষে কয়েক দিনের বিরতি থাকলেও এই প্রথম ইদে এত লম্বা সময় ধরে বাণিজ্য বন্ধ রাখা হচ্ছে। ফলে দুই দেশের রফতানি-আমদানি বড়সড় ধাক্কা খাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বন্দর নির্ভর ব্যবসায়ী ও শুল্ক দফতরের কর্তারা। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশাসনিক নির্দেশে এবারের ইদে জাতীয় ছুটির মেয়াদ বেড়ে হয়েছে ১০ দিন। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশের বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছে, ইদের সময় ৫ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত বাণিজ্য বন্ধ থাকবে। যদিও দুই দেশের নাগরিকদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে বলে জানানো হয়েছে। তবে ছুটির সময়সীমা ও ইদের মরসুমে যাত্রীসংখ্যা অনেকটাই কম থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, প্রতিদিন পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে গড়ে ভারত থেকে ৪৫০টি ট্রাক বাংলাদেশে বিভিন্ন সামগ্রী রফতানি করে থাকে এবং বাংলাদেশ থেকে প্রায় ২৫০-৩০০টি ট্রাক ভারতে প্রবেশ করে। বছরে এই রুটে প্রায় ৩০-৩৫ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হয়ে থাকে। এ বিষয়ে রফতানিকারক সংস্থাগুলির দাবি, প্রতি বছর ইদে ৪ দিনের মতো ছুটি থাকলেও এবার প্রথমবার ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে দু’দেশের ব্যবসায় বিরাট ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
পেট্রাপোল শুল্ক দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বেনাপোল কর্তৃপক্ষ থেকে ছুটি সংক্রান্ত চিঠি এসেছে। পুরো ১০ দিন দুই দেশের মধ্যে পণ্য পরিবহণ বন্ধ থাকবে। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পেট্রাপোলের এক ব্যবসায়ী জানান, ইদে এত দিনের ছুটি আগে কখনও হয়নি।