কাটোয়ার আমুলগ্রামে পরকীয়ার জেরে স্বামীকে খুনের ঘটনায় এবার স্ত্রীর প্রেমিককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত অভিজিৎ বাগদীর সঙ্গে ষড়যন্ত্র করেই স্বামী মহাদেব দাসকে তিনি খুন করেছেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন মিতা দাস। এই ঘটনায় আগেই মিতা দাসকে গ্রেফতার করেছিল কাটোয়া থানার পুলিশ।
গত রবিবার আমুলগ্রামের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় মহাদেব দাসের দেহ। সকালে ঘরে বিছানায় নিথর অবস্থায় মহাদেব দাসকে পড়ে থাকতে দেখেন আত্মীয়রা। রাতে স্বামীর সঙ্গে ওই ঘরেই ছিলেন স্ত্রী মিতা দাস। তিনি জানান, স্বামীর কী ভাবে মৃত্যু হয়েছে জানা নেই তাঁর। পুলিশ এসে দেখে মৃতদেহের মাথার পিছনে ভারী কিছু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এর পরই মিতাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। জেরায় ধৃত পুলিশকে জানায় প্রেমিক অভিজিৎ বাগদীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্বামীকে খুন করেছে মিতা। এর পর তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় মিতা জানিয়েছে গত শনিবার রাতে ঘরে মদ্যপান করছিলেন তাঁর স্বামী। তখন মদের মধ্যে রাসায়নিক মিশিয়ে দেন মিতা। সেই মদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন স্বামী। এর পর ঘরে ঢোকে তাঁর প্রেমিক অভিজিৎ। এর পর প্রথমে মাথার পিছনে বাঁশ দিয়ে আঘাত করে মহাদেবকে খুনের চেষ্টা করা হয়। মৃত্যু নিশ্চিত করতে মুখে চেপে ধরা হয় বালিশ।
এর পর থেকেই অভিজিতের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। অবশেষে বুধবার সে ধরা পড়ে। তাঁকে কাটোয়া মহকুমা আদালতে পেশ করে ৭ দিনের হেফাজতে চেয়েছেন তদন্তকারীরা।