বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে মঙ্গলবার ভোরে হাওড়া স্টেশন থেকে হারেজ শেখ নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে বেঙ্গল পুলিশের এসটিএফ। পরিবারের দাবি, ধৃত যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন। মঙ্গলবার দুপুরে নদিয়ার নবদ্বীপ থানা এলাকার মায়াপুর বামনপুকুরের মোল্লাপাড়ায় হারেজের মামাবাড়ি গিয়ে দেখা গেল গ্রেফতারিতে হতবাক পরিবারের প্রত্যেক সদস্য। গ্রেফতার সন্দেহভাজন জঙ্গির দাদু জানালেন, লকডাউনের সময় থেকে চিকিৎসা চলছে হারেজের।
আরও পড়ুন - জঙ্গি হাবিবুল্লারহের সঙ্গে যোগ! সন্দেহে হাওড়া স্টেশন থেকে গ্রেফতার যুবক
পড়তে থাকুন - খড়গপুরে প্রকাশ্যে চলল গুলি, পার্টি অফিসের পাশেই গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী
মঙ্গলবার দুপুরে হারেজের গ্রেফতারির খবর পৌঁছতেই মোল্লাপাড়া এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ধৃতের মামাবাড়ি গিয়ে জানা যায়, হারেজের বাবা - মা আলাদা থাকেন। বাড়ির কাছেই মামাবাড়িতে অনেক সময় থাকত সে। আবার কখনও নিজের বাড়িতেও থাকত। ধৃতের দাদু হায়দার শেখ বলেন, মঙ্গলবার সকালে কলকাতায় কাপড়ের গুদামে কাজ করবে বলে বাড়ি থেকে খেয়ে দেয়ে বেরোয় হারেজ। দুপুরে মায়াপুর ফাঁড়ি থেকে খবর আসে, তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেন, হারেজের মানসিক অসুস্থতা রয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর তার ২ কান থেকে রক্ত বেরতো। এসএসকেএম হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। তার ২ কানে অস্ত্রোপচার হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ৭ বছর লাগবে পুরোপুরি সুস্থ হতে।
তিনি বলেন, পরিবার বা স্থানীয় প্রতিবেশীদের সাথেও খুব বেশি কথাবার্তা বলত না হারেজ। মাঝেসাজে কৃষিকাজের জন্য মাঠে গেলেও দিনের বেশিরভাগ সময়টাই বাড়িতে মোবাইল ফোন নিয়ে সময় কাটাতো। তবে মাঝেমধ্যে নামাজ পড়তে স্থানীয় মসজিদে যেত নাতি। ওকে সবাই এলাকায় হারেজ পাগল বলে চেনে।
আরও পড়ুন - ঋণ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বধূকে দিঘা বেড়াতে যাওয়ার প্রস্তাব তৃণমূল নেতার
হারেজের চিকিইসার সমস্ত নথি দেখিয়ে তাঁর মামা দাবি করেন, ‘ভাগ্নে মানসিকভাবে অসুস্থ। ও কোনও কাজ কর্ম করতে পারে না। খায় – দায় আর ঘুমায়। ও কী করে জঙ্গি সংগঠনে যুক্ত থাকবে। কেউ ওকে ফাঁসিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। আমরা নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’
কাঁকসা থেকে ধৃত জঙ্গি হাবিবুল্লাহকে জেরা করে হারেজের নাম পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তবে সে কী ধরণের কার্যকলাপে যুক্ত ছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়।