দোকান বসানো নিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি মহেশতলা সংলগ্ন রবীন্দ্রনগরে। রবীন্দ্রনগর থানার সামনে বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এলাকায় পাথর বৃষ্টি চলছে। পুলিশকে লক্ষ্য করে চলছে পাথরবৃষ্টি। পুলিশ পরিস্থিতি মোকাবিলার সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে। আক্রা সন্তোষপুরে দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ।
পদস্থ পুলিশকর্তারা ঘটনাস্থলে চলে গিয়েছেন। কিন্তু পরিস্থিতি ক্রমশ রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল পাঠিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করে। তবে একের পর এক পুলিশকর্মী রক্তাক্ত। এক মহিলা পুলিশকর্মীও আহত হয়েছেন।
একদিকে পুলিশ। কিছুটা দূরত্বে দাঁড়িয়ে রয়েছে উত্তেজিত জনতা। রক্তাক্ত হয়েছে পুলিশ। পুলিশের স্পেশালাইজড ফোর্সের গাড়ির কাঁচে ভাঙচুর করা হয়েছে। একের পর এক পাথরবৃষ্টির জেরে ক্রমশ পিছু হঠতে শুরু করে পুলিশ।
পুলিশকে লক্ষ্য করে একের পর এক পাথর ছুঁড়তে থাকে উত্তেজিত জনতা। রাজ্য পুলিশের পদস্থ কর্তারা এলাকায় চলে গিয়েছেন। তারপরেও পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যাচ্ছে না। টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটিয়েও পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যাচ্ছে না।
এক পুলিশ কর্মী সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, জীবনরক্ষার জন্য লড়াই করে পারছিলাম না। ইট ছুঁড়ছে। পুরো মরণবাঁচন অবস্থায় পড়ে গিয়েছি। আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এক মহিলা পুলিশকর্মী জানিয়েছেন, আমার মাথায় ইঁট পড়েছে। পালাতে গিয়ে মাথায় ইঁট পড়ল। ওরা পাগলের মতো ইঁট ছুঁড়ছে। ওরা প্রচুর লোক। ১০০ দেড়শোর উপর লোক। ওদের সামলানো যায় নাকি। গাড়ি ভেঙে দিয়েছে। দুমদাম ইঁট ছুঁড়ছে।
কার্যত মহেশতলার ঘটনায় এদিন ফের সামনে এল একটা বিষয় কতটা অসহায় পুলিশ।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, দ্রুত পরিস্থিতিরর মোকাবিলা করতে হবে।