লোকসভা নির্বাচনে এবার নজরকাড়া কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল হুগলি। যেখানে বিজেপির প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় প্রায় ৭৬ হাজার ভোটে পরাজিত হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তবে বিজেপির দুই নেতা–কর্মী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের পরাজয়ের জন্য দলের স্থানীয় মণ্ডল সভাপতিদের এবং জেলা নেতৃত্বের একাংশের নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ী করেছেন। আর নিজের হার মেনে নিতে না পেরে লকেট সরাসরি অন্তর্ঘাতের অভিযোগ তুলেছেন। বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তুষার মজুমদারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছেন লকেট। সুতরাং হুগলি জুড়ে অনৈক্যের ছবি দেখা যাচ্ছে পদ্ম শিবিরের অন্দরমহলে।
এখানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার আসেন এক কর্মসূচিতে। তখনই তাঁর কাছে দলীয় নেতা–কর্মীরা ক্ষোভ জানান। এই বিষয়ে সোমবার লকেট চট্টোপাধ্যায় এক সংবাদমাধ্যমকে টেলিফোনে বলেন, ‘দলের মণ্ডল ও বুথ কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ না করে জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার তৃণমূল কংগ্রেস এবং আইপ্যাকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছিলেন। জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে টাকা গড়মিল থেকে দলবিরোধী কাজের কথা রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছি। ওঁর দলবিরোধী কাজের তথ্যপ্রমাণ সব আমার কাছে রয়েছে। দল ডাকলে সেগুলি তাদের দেখাব।’
আরও পড়ুন: মহরম উপলক্ষ্যে ট্রাফিক ব্যবস্থা ঢেলে সাজিয়েছে কলকাতা পুলিশ, কোন পথে যান নিয়ন্ত্রণ?
এই আবহে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের সংগঠন যে ভাঙতে চলেছে সেটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে দলের প্রার্থীর এমন মনোভাব থাকলে তা আগামী দিনে আরও লোকসানের পথ দেখাবে। হুগলি জেলায় লকেট চট্টোপাধ্যায়কে মানুষ গোটা পাঁচ বছর পাননি বলেই অভিযোগ। তার জেরেই এই পরাজয়। আর জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার গোটা বিষয়টি নিয়ে বলেছেন, ‘লকেটদি এমন কথা বলতেই পারেন না। আমি আইপ্যাক বা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখিনি। দলের পরাজয় নিয়ে মণ্ডল ও বুথ কমিটির সঙ্গে বিশ্লেষণ চলছে।’ কিন্তু বিতর্ক জিইয়ে রাখতে তুষার মজুমদার না চাইলেও তা শুরু হয়েছে হুগলিতে।