নির্বাচন কমিশনের মদতে রাজ্যে অনলাইনে বিজেপি ভূতুড়ে ভোটারদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করছে বলে যখন সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন তাঁরই প্রশাসনের বিরুদ্ধে উঠল ভোটার তালিকায় বাংলাদেশিদের নাম তোলার অভিযোগ। কোচবিহারের শীতলকুচি বিধানসভায় ৫ জন বাংলাদেশি নাগরিকের নাম ভোটার তালিকায় চিহ্নিত হয়েছে। অভিযোগ, ছিটমহল বিনিময়ের সময় এরা বাংলাদেশে চলে গেলেও কোচবিহারের বড় কইমারি গ্রাম পঞ্চায়েতে ভোটার তালিকায় রয়ে গিয়েছে তাদের নাম।
আরও পড়ুন - ব্রাত্য বসুর গাড়ির তলায় 'চাপা পড়া' ইন্দ্রানুজের নামে ৩ FIR, অভিযোগ কী কী?
পড়তে থাকুন - 'হিন্দু ধর্মকে শেষ করতে পারবেন না,' ঔরঙ্গজেবের কথা টেনে মমতাকে আক্রমণ হিমন্তের
বিজেপির অভিযোগ, বড় কইমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের নলগ্রামে এমন ৫ জনের নাম ভোটার তালিকায় রয়েছে যারা ছিটমহল বিনিময়ের সময় বাংলাদেশে চলে যান। মাহাবুল হোসেন, সফিকুলসহ পরিবারের ৫ জনের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার দাবিতে সরব হয়েছে বিজেপি। শীতলকুচির বিজেপি বিধায়ক বরেণচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘কী ভাবে বাংলাদেশিদের নাম ভারতের ভোটার তালিকায় উঠল তার জবাব বিডিওকে দিতে হবে। বাংলাদেশিদের নাম ভারতের ভোটার তালিকায় তুলে ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করতে চাইছে তৃণমূল।’
ওদিকে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের দাবি, কারও নাম নতুন করে তালিকায় তোলা হয়নি। ছিটমহল বিনিময়ের পর ভোটারতালিকা থেকে তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়নি। তবে এদের কেউই ভোট দেন না। বিডিওকে দ্রুত এদের নাম তালিকা থেকে বাদ দিতে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন - ‘খুব ভালো অনুভূতি হয়েছে কুম্ভে,’ খোলাখুলি আর কী জানালেন তৃণমূলের 'সনাতনী' সুজাতা
২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ছিটমহল বিনিময় সম্পন্ন হয়। এই প্রক্রিয়ায় ভারতে বাংলাদেশের ছিটমহলের ৩৮,৫২১ জন বাসিন্দার মধ্যে মাত্র ৯৮৯ জন বাংলাদেশি নাগরিকত্ব বজায় রাখতে চেয়েছিলেন। ওদিকে বাংলাদেশে ভারতের ছিটমহলের ১৪,৮৬৩ জন বাসিন্দার প্রত্যেকে ভারতের নাগরিকত্ব বজায় রাখতে আবেদন করেন।