মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনায় ১১৮ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এদিকে জানা গিয়েছে, ফরাক্কার তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলামকে ওয়াকফ সংশোধনী বিরোধীরা হেনস্থা করেছে। সামশেরগঞ্জ থানার পাশে বিধায়কের দাদার বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন মনিরুল। এর আগে জঙ্গিপুরের সাংসদের অফিসে হামলা চালিয়েছিল ওয়াকফ বিক্ষোভকারীরা। শনিবার সকাল থেকে অবশ্য মুর্শিদবাদের সব এলাকায় মোটের ওপর শান্তি বিরাজ করছে বলে দাবি করা হয়েছে। যদিও পরিস্থিতি থমথমে। (আরও পড়ুন: 'রাজ্যে ৪০% মুসলিম...', শান্তি বজায় রাখার জন্যে পুলিশের প্রশংসায় মুখ্যমন্ত্রী)
আরও পড়ুন: ওয়াকফ প্রতিবাদের নামে তৃণমূল সাংসদের অফিস ভাঙচুর, খলিলুরকে ঘিরে ধরে গালিগালাজ!
আরও পড়ুন: 'ওয়াকফ প্রতিবাদের নামে লুটপাট... থানায় হামলা হওয়ায় পুলিশ নিজেই পালায়'
এদিকে গতকালকের হিংসায় গুলিবিদ্ধ সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া মোশারফ হোসেনকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এদিকে মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিএসএফের সাহায্য চেয়েছিল জেলা প্রশাসন। এর আগে গতকাল হিংসা ঠেকাতে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের হিংসার শিকার হয়েছিল পুলিশ। জখম হয়েছিলেন ফারাক্কার এসডিপিও। তবে গতকাল রাতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে বলে জানায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছিল। এদিকে বার্তাসংসংস্থা এএনআই-এর ভিডিয়োতে দেখা যায়, গতরাতে বিএসএফ মোতায়েন ছিল জঙ্গিপুরের বিভিন্ন জায়গায়। এমনকী আজ সকালেও বিএসএফ জওয়ানদের টহল দিতে দেখা যায় এলাকায়। (আরও পড়ুন: বিক্ষোভের মুখে রাজ্যের মন্ত্রী, হামলা-কটাক্ষ MP-দের! WAQF প্রতিবাদে কি চাপে TMC?)
আরও পড়ুন: কলকাতায় বাস থেক গেরুয়া পতাকা খোলানোর অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন কমিশনার, বললেন…
আরও পড়ুন: 'ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির বেদিতে শাসনব্যবস্থার বলি', WAQF ইস্যুতে হামলা BDO অফিসে
তার আগে শুক্রবার পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। রেল স্টেশন থেকে শুরু করে জাতীয় সড়ক জুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছিল ওয়াকফ প্রতিবাদীরা। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত বাহিনী পাঠিয়েছে বিএসএফ। অপরদিকে গুজব ছড়ালে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুলিশ। এদিকে বিজেপির দাবি, আমতলা থেকে মুর্শিদাবাদ, সর্বত্রই পুলিশ 'মার খাচ্ছে'। এই আবহে সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে গেরুয়া শিবির। জানা যায়, গতকাল পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টি করে বিক্ষোভকারীরা। দাবি করা হয়েছে, গতকাল পুলিশ-জনতার খণ্ডযুদ্ধে জখম ফরাক্কার এসডিপিও। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয়। লাঠিচার্জও করে পুলিশ। এরপরে সাজুরমোড়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি বোমা বর্ষণ করে উত্তেজিত বিক্ষোভকারীরা। এর মাঝেও প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে সাহসিকতার সঙ্গে পুলিশ পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করেছিল সেখানে। তবে ওয়াকফ আন্দোলনকারীদের রোষ আরও বাড়লে অনেক পুলিশকর্মীকেই প্রাণ বাঁচাতে মসজিদে আশ্রয় নিতে হয়েছিল বলে দাবি করা হয়।