বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > Dengue in Kolkata: বাড়ছে ডেঙ্গি, হাসপাতালে বেড সংরক্ষণ, হেল্পলাইন চালু করেছে KMC
পরবর্তী খবর
Dengue in Kolkata: বাড়ছে ডেঙ্গি, হাসপাতালে বেড সংরক্ষণ, হেল্পলাইন চালু করেছে KMC
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 28 Sep 2023, 11:19 AM ISTChiranjib Paul
ডেঙ্গি পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বুধবার এক জরুরি বৈঠক করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পুরসভার স্বাস্থ্য-সহ একাধিক বিভাগের আধিকারিকরা।
কলকাতা পুরসভা
পুজোর মুখেই আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠেছে ডেঙ্গি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগামী সপ্তাহ থেকে একটি হেল্পলাইল চালু করছে কলকাতা পুরসভা। সেই হেল্পলাইনের মাধ্যমে ডেঙ্গি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি, হাসপাতালে বেডের হালহকিকত জানা যাবে। এছাড়া ডেঙ্গি রোগীদের জন্য হাসপাতালে বেড সংরক্ষণেরও ব্যবস্থা করছে পুরসভা।
ডেঙ্গি পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বুধবার এক জরুরি বৈঠক করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পুরসভার স্বাস্থ্য-সহ একাধিক বিভাগের আধিকারিকরা। বৈঠকে ঠিক হয় কী ভাবে 'হাই রিস্ক' জোনে ডেঙ্গি ছড়িয়ে পড়া আটকানো যাবে। শহররে হাসপাতালে ডেঙ্গি রোগীদের জন্য বেড সংরক্ষণের বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়। জানা গিয়েছে, খিদিরপুর পুরসভার আরবান কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে ১০০টি শয্যা সংরক্ষণ করা হবে। অন্যদিকে ইসলামিয়া হাসপাতালে মোট ২০০ টি শয্যা রয়েছে। সেখানেও রোগী ভর্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, খিদিরপুর পুরসভার আরবান কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে ২০ টি বেড ছিল। সেখানে আরও ১০০ টি বেডের পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ওই বেডগুলি ডেঙ্গি রোগীদের জন্য রাখা হবে। কেউ যদি পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করে তবে তাকে বেডের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। হেল্পলাইন নম্বরে সেই সুবিধা পাওয়া যাবে।
ইসলামিয়া হাসপাতালেও ২০০টি বেড রয়েছে। যেহেতু ওটি বেসরকারি হাসপাতাল তাই প্রয়োজন অনুযায়ী রোগী পাঠানো হবে।
ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, 'আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে হেল্পলাইন নম্বর চালু হচ্ছে। করোনা কালের মতো ওই হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে কোন হাসপাতালে কত বেড রয়েছে তা জানতে পারবেন রোগীর পরিবার।' এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, 'স্বাস্থ্য দফতরের কাছে আবেদন করা হবে, যাতে তারা কলকাতার সরকারি হাসপাতালের ফাঁকা বেড পুরসভাকে দেয়।'
গত সপ্তাহের পরিসংখ্যান অনুযায়ী কলকাতা শহরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৩,৮৭০ জন। চলতি সপ্তাহেও নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। কোথায় জল জমছে তা নজরদারির জন্য ড্রোনের ব্যবহার শুরু করেছে পুরসভা। ড্রোনের মাধ্যমেই ছাড়ানো হচ্ছেম মশার লার্ভা মারার তেল।