বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > Class Four Student Alleged Suicide: বিকেলে পড়তে নয়, খেলতে যেতে চেয়েছিল..বাড়ির বকা খেতেই আত্মঘাতী চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র!
পরবর্তী খবর
Class Four Student Alleged Suicide: বিকেলে পড়তে নয়, খেলতে যেতে চেয়েছিল..বাড়ির বকা খেতেই আত্মঘাতী চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র!
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 08 Mar 2025, 11:44 AM ISTSritama Mitra
ঘটনা বাঁকুড়া জয়পুর থানার কারকবেড়িয়া এলাকার। বিকেলে স্কুল থেকে এসে ইন্দ্রজিতের আর টিউশনে পড়তে যেতে ইচ্ছে করেনি। বাড়িতে বায়না করতে থাকে সে। এরপর কী ঘটে?
চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়ার মৃত্যু।
আশপাশের প্রতিবেশী লোকজনরা বলছেন, ক্লাস ফোরের পড়ুয়া মৃত ইন্দ্রজিৎ দিগরের খেলার প্রতি খুব আগ্রহ ছিল। শুক্রবার বিকেলে স্কুল থেকে ফিরেও সে খেলতেই যেতে চেয়েছিল। কিন্তু বিকেলের ওই একই সময়ে পড়ে গিয়েছিল টিউশনও। বিকেলে টিউশনে পড়তে যাওয়ার কথা ছিল ইন্দ্রজিতের। আর বিকেলে পড়তে নয়, বরং খেলতে যেতে চেয়েছিল ছোট্ট ইন্দ্রজিৎ। পরিবারের সদস্যরা তা শুনে বকা দেন। বকুনি খাওয়ার কিছু পরেই উদ্ধার হয়েছে চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া ইন্দ্রজিতের নিথর দেহ। অনুমান সে আত্মঘাতী হয়েছে। শোকে স্তব্ধ পরিবার।
ঘটনা বাঁকুড়া জয়পুর থানার কারকবেড়িয়া এলাকার। বিকেলে স্কুল থেকে এসে ইন্দ্রজিতের আর টিউশনে পড়তে যেতে ইচ্ছে করেনি। বাড়িতে বায়না করতে থাকে সে। পড়তে যেতে চায়নি ইন্দ্রজিৎ। খেলতে যেতে চেয়েছিল সে। ছেলের কথা শুনে পরিবারের তরফে বকুনি দেওয়া হয়। অভিমানে চরম রাস্তা নেন ইন্দ্রজিৎ। তখন কেই বা বুঝেছিলেন যে, মাত্র নয়-দশ বছরের ছেলেটা নিতে পারে এমন চরম পদক্ষেপ। জানা যাচ্ছে, গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্র। জানা যায়, ঘটনার আগে, বাড়িতে বেশ কিছুটা বকাঝকা খেয়েছিল ছোট্ট ইন্দ্রজিৎ।
এদিকে, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় বাড়ির লোকজন ইন্দ্রজিৎকে খুঁজে না পেয়ে খোঁজ শুরু করেন। তখনই দেখা যায়, গলায় গামছা দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় ইন্দ্রজিতের দেহ রয়েছে। ইন্দ্রজিতের ঝুলন্ত দেহ দেখেই শোকে কাতর হয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। খবর জানতেই এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। ছোট্ট ইন্দ্রজিতের এই অভিমানের পদক্ষেপ ঘিরে হতভম্ব হয়ে যান অনেকেই। ৯-১০ বছরের ছেলের আত্মহত্যার ঘটনা অনেককেই অবাক করেছিল। তড়িঘড়ি গলার ফাঁস খুলে ইন্দ্রজিৎকে কোতুলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে প্রাণে রক্ষা করা যায়নি। শেষে হাসপাতাল ইন্দ্রজিৎকে মৃত বলে ঘোষণা করে। পুলিশ মৃতদেহটি এদিন ময়নাতদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠায়। গোটা পরিবার ঘটনায় শোকস্তব্ধ। কীভাবে এই কাণ্ড ঘটতে পারে, তা ঠাওর করতে পারছেন না অনেকেই। শোকে কাতর এলাকাবসীরাও।