শগুজরাটের গান্ধীনগরে সেমিকনডাক্টর সম্মেলন সেমিকন ইন্ডিয়া ২০২৩ উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই ক্ষেত্রে লগ্নি টানতে আরও একবার দরজা খুলে দিলেন বিনিয়োগকারীদের জন্য। এই প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেন, ভারতে কারখানা গড়লে কোনও সেমিকনডাক্টর সংস্থা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত আর্থিক সাহায্যও পাবে।
সেমিকন্ডাকটের ওপর প্রদর্শনী ঘুরে দেখছেন মোদী
মোবাইল থেকে ক্যামেরা, মোটরগাড়ি থেকে ফ্রিজ, বৈদ্যুতিন ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রের প্রতিটি ইউনিট প্রস্তুত করতেই প্রয়োজন সেমিকনডাক্টরিং প্রযুক্তি। বলা ভালো, সেমিকনডাক্টরিং ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে একেবারে অচল। কিন্তু এই জোগান দেয় কেবলমাত্র দুটি দেশ। সেমিকনডাক্টরিং প্রযুক্তির জন্য ভারত সহ গোটা বিশ্ব কার্যত তাকিয়ে থাকে চিন, তাইওয়ানের দিকে।
এদিকে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে জোর দিতে বেশ কিছু দিন ধরেই উঠেপড়ে লেগেছে ভারত সরকার। নরেন্দ্র মোদী বারংবার আইটি সেক্টরের দখল নিতে নানান পরিকল্পনা, চুক্তি করছেন। বেশ কিছু উৎপাদন সংক্রান্ত নীতিও এনেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু, বেদান্ত ও ফক্সকন গোষ্ঠীর গাঁটছড়া ভেঙে যাওয়ায় ভারতে সেমিকনডাক্টর তৈরির সেই লক্ষ্য সম্প্রতি প্রশ্নের মুখে পড়ে। তবে আশার কথা গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার গুজরাটের গান্ধীনগরে সেমিকনডাক্টর সম্মেলন সেমিকন ইন্ডিয়া ২০২৩ উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই ক্ষেত্রে লগ্নি টানতে আরও একবার দরজা খুলে দিলেন বিনিয়োগকারীদের জন্য। এই প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেন, ভারতে কারখানা গড়লে কোনও সেমিকনডাক্টর সংস্থা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত আর্থিক সাহায্যও পাবে। এবার দেখার কোন পথে বিনিয়োগ আসে দেশে।
(আরও পড়ুন: মার্কিন সফরে মোদী ম্যাজিক! ভারতে আসছে নামী সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানি, হবে ১ লাখ চাকরি) প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, একই সাথে দুটি উদ্দেশ্য সাধন করতে চাইছেন মোদী। আজকের বিশ্বে মানুষের প্রায় প্রতিটি মুহূর্তের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বৈদ্যুতিন প্রযুক্তি, ফলে সেমিকনডাক্টরের চাহিদা বাড়ালেও বিপুল। এমনকি কোভিড-১৯ এর সময়ে এর জোগানে ঘাটতিও দেখা যায়, ফলে দামও ছিল উর্ধ্বমুখী।