বাংলা নিউজ > টেকটক > 'Youtube-এ ভিডিয়ো লাইক করুন, দিনে ২,০০০ টাকা করে কামান…' সাবধান করল কলকাতা পুলিশ
পরবর্তী খবর
'Youtube-এ ভিডিয়ো লাইক করুন, দিনে ২,০০০ টাকা করে কামান…' সাবধান করল কলকাতা পুলিশ
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 08 Jun 2023, 11:43 AM ISTSoumick Majumdar
YouTube ভিডিয়ো লাইক করতে এবং তার স্ক্রিনশট পাঠাতে বলা হয়। স্ক্যামারদের 'জব অ্যাপ'-এ এরপর 'আয়' দেখানো হয়। কয়েকদিন এভাবে করার পরে অ্যাকাউন্টে অনেক টাকাই জমে যায়। এরপরই আসল চাল খেলে প্রতারকরা।
ফাইল ছবি: এএফপি
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের এক নয়া ধরনের ইউটিউব কেলেঙ্কারির বিষয়ে সাবধান করে দিল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি বেশ কিছু প্রতারক বিজ্ঞাপন সংস্থা বা YouTube-এর প্রতিনিধি হিসাবে জালিয়াতির ফাঁদ পাতছে। সেখানে আমজনতাকে ভিডিয়ো লাইক করার জন্য বলা হচ্ছে। আরও পড়ুন: Gmail-এ ব্লু টিক থাকলেও শান্তি নেই! ভেরিফিকেশনকে বোকা বানাচ্ছে স্ক্যামাররা
'অভিযুক্তরা হোয়াটসঅ্যাপ বা টেলিগ্রামের মাধ্যমে জাল ছড়াচ্ছে। মেসেজ পাঠিয়ে বলা হচ্ছে, তিনটি ভিডিয়ো লাইক করতে হবে। তিনটি করে লাইকের জন্য ১৫০-২০০ টাকা করে দেওয়া হবে। এভাবে দিনে ২,০০০ টাকা পর্যন্ত আয়ের সুযোগ মিলবে বলে দাবি করা হয়। এরপর নেটিজেনদের মেসেজের সঙ্গে দেওয়া লিঙ্কে ক্লিক করতে বলা হয়। আর এই লিঙ্কেই আসল ফাঁদ। এখানে টাচ করলেই আর্থিক ক্ষতি এবং প্রাইভেসি লঙ্ঘনের শিকার হতে পারে,' জানালেন কলকাতা পুলিশের এক গোয়েন্দা আধিকারিক।
এই বিষয়ে সতর্ক করে টুইট করেছেন পুলিশের যুগ্ম সিপি (অপরাধ) এস এস চক্রবর্তী।
এই ইস্যুতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকও একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, সাইবার অপরাধীরা সম্ভাব্য শিকারের নাগাল পেতে হোয়াটসঅ্যাপ এবং টেলিগ্রাম ব্যবহার করছে। এরপর মেসেজে তাঁদের বাড়ি বসে পার্ট টাইম কাজের প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। সেখানে তাঁদের ইউটিউব ভিডিয়োতে লাইক এবং সাবস্ক্রাইব করতে বলা হচ্ছে।
কেউ ভুল করে সেই অফার অ্যাকসেপ্ট করতে চাইলেই তাঁকে 'টাস্ক ম্যানেজার' নামে পরিচালিত একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত করা হয়। সেখানে তাঁদের YouTube ভিডিয়ো লাইক করতে এবং তার স্ক্রিনশট পাঠাতে বলা হয়। স্ক্যামারদের 'জব অ্যাপ'-এ এরপর 'আয়' দেখানো হয়। কয়েকদিন এভাবে করার পরে অ্যাকাউন্টে অনেক টাকাই জমে যায়। এরপরই আসল চাল খেলে প্রতারকরা। বলা হয়, 'এই টাকা তোলার জন্য ট্রান্সফার ফি প্রদান করতে হবে।' সেই ট্রান্সফার ফি প্রদান করার পরেই প্রতারকরা তাঁদের ব্লক করে হাওয়া হয়ে যান।