বাংলা নিউজ > ময়দান > 2024 T20 WC-এর জন্য বদলাতে হবে ভারতীয় ব্যাটিং অর্ডার, কোথায় ফাঁক ভরাট করা হবে?
পরবর্তী খবর
2024 T20 WC-এর জন্য বদলাতে হবে ভারতীয় ব্যাটিং অর্ডার, কোথায় ফাঁক ভরাট করা হবে?
2 মিনিটে পড়ুন Updated: 22 Jun 2023, 03:28 PM ISTTania Roy
ওয়েস্ট ইন্ডিজে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ভারতকে নতুন করে ব্যাটিং লাইন আপ সাজাতে হবে। আর শুভমন গিল, যশস্বী জয়সওয়াল, সূর্যকুমার যাদব, তিলক বর্মা, সঞ্জু স্যামসন, হার্দিক পান্ডিয়াদের দিয়ে এখন থেকেই গড়ে তুলতে হবে শক্তিশালী দল।
যশস্বী জয়সওয়াল।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টানা ব্যর্থ হওয়ার পর ভারতের উঠতি আইপিএল প্রতিভাদের নিয়ে দলকে চনমনে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে পুরো শক্তিশালী ব্রিগেড তৈরি করা উচিত বিসিসিআই-এর। তাদের ব্যাটিং ইউনিট নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা চালাতে আগামী মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজকে কাজে লাগাতে পারে ভারত।
পাওয়ার প্লে ব্যবহার করা
পাওয়ার প্লে-তে নিয়ে ভারতের অক্ষমতা সাম্প্রতিক টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রধান সমালোচনার বিষয়গুলির মধ্যে অন্যতম ছিল। ২০২৩ সালের চ্যাম্পিয়ন টিম ইংল্যান্ড পূর্ণ সদস্য দেশগুলির বিরুদ্ধে তাদের ১২টি ম্যাচের মধ্যে ৭টি ম্যাচে পাওয়ারপ্লে-তে প্রতি ওভারে ৮ বা তার বেশি রান করেছে, অস্ট্রেলিয়া তাদের ১১টি খেলার মধ্যে ৫টিতে এই কাজটি করেছে। এই দুই দেশের পরিসংখ্যানের সঙ্গে তুলনা করলে ভারত ৮টি ম্য়াচের মধ্যে একটিতে ৮ বা তার বেশি রান করেছে।
রোহিত শর্মা খুব কম সময়েই পাওয়ারপ্লে-তে আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলেন। সেখানে যশস্বী জয়সওয়াল ২০২৩ আইপিএলে পাওয়ার প্লে-তে স্কোরবোর্ডে দ্রুত রান যোগ করে সকলের নজর কেড়েছেন। বিগত চারটি আইপিএল মরশুমের দিকে যদি নজর রাখা যায়, তবে দেখা যাবে ২০২৩ সালে জয়সওয়াল যে রান পাওয়ার প্লে-তে করেছে, সেটা আর কোনও ভারতীয় ব্যাটার চার বছরে করতে পারেননি। ৭২ গড় বজায় রেখে ১৭৫ স্কোর তিনি পাওয়ার প্লে-তেই করেছেন। ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে রোহিতের জায়গায় খেলতেই পারেন যশস্বী। পাওয়ার প্লে-কে কাজে লাগাতে হলে যশস্বীকে এখন থেকেই টি-টোয়েন্টি জন্য তৈরি করা যেতে পারে।
পাওয়ারপ্লে স্কোরিং তালিকায় শীর্ষে থাকা আর এক ব্যাটার শুভমন গিলকে ভারতের আর একটি ভূমিকার জন্য তৈরি করা উচিত। একজন মর্ডান অ্যাঙ্কর প্লেয়ার হিসেবে। গিলের সব ধরনের বোলিং খেলার ক্ষমতা রয়েছে। গুজরাট টাইটান্সের ওপেনারের গড় ৩০-এর বেশি এবং ২০২২ সালের শুরু থেকে টি-টোয়েন্টিতে পাঁচটি প্রধান বোলারের বিরুদ্ধে ১৪৫-এর উপরে স্ট্রাইকরেট রয়েছে। টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে যে কারওর চেয়ে বলকে ভালো ভাবে টাইম করার ক্ষমতা শুভমন গিলের রয়েছে। তাঁকে যুক্তিযুক্ত ভাবে আধুনিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে কঠিন এবং সবচেয়ে সমালোচিত ভূমিকায় চিহ্নিত করা উচিত, আর সেটা হল অ্যাঙ্কর।
মিডল অর্ডারে বাঁ-হাতি প্লেয়ার নিয়ে আসা
সূর্যকুমার যাদবের উত্থানের আগে ভারত তাদের টি-টোয়েন্টি লাইন-আপের মিডল অর্ডারে একজন বাঁ-হাতি খেলোয়াড়ের খোঁজে ছিল। যেখানে বিরাট কোহলির সাথে ৪ নম্বর স্লটে ব্যাট করছেন। কারণ সূর্যকুমারকে ৩ নম্বরে তুলে আনা হয়েছে। ভারত ওপেনার যশস্বী জয়সওয়ালের পাশাপাশি ব্যাটিং অর্ডারে আরও একজন বাঁ-হাতিকে যুক্ত করার সুযোগ তৈরি হবে।
ভারতের বাম-ডান কম্বিনেশনের অভাব ব্যাট হাতে তাদের ক্ষমতা কিছুটা সীমিত করে দেয়। লাইনআপে ডান-হাতিদের বিপাকে ফেলতে বিপক্ষ দলগুলি প্রায়ই বাঁ-হাতি স্পিনার বা লেগ স্পিনার ব্যবহার করে থাকে। পরপর শেষ দুই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুধু মাত্র আয়ারল্যান্ডই ভারতের (১৯ শতাংশ) তুলনায় বাম-ডান সমন্বয়ের দ্বারা কম ডেলিভারি করেছে।
বাঁ-হাতি ব্যাটারদের ক্ষেত্রে যশস্বী জয়সওয়াল হলে ঋষভ পন্ত রয়েছেন। তিনি ফিট হয়ে ফিরে আসলে দল সুবিধে পাবে। এ ছাড়া তিলক বর্মা তাঁর ছোট আইপিএল ক্যারিয়ারে বাঁ-হাতি স্পিন এবং লেগ স্পিনের বিরুদ্ধে ৫০ গড়ে এবং ১৪০ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেনন। তিলক বর্মা এবং সূর্যকুমার যাদবের এই বাম-ডান কম্বিনেশনের সুবিধে নিয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। আইপিএলে ১১ ম্যাচে এই জুটি একসঙ্গে ব্যাট করেছে। তাদের পার্টনারশিপের গড় ৪২ এবং স্ট্রাইকরেট ১৪৮। জুটিতে রান করেছে ৪৬৬।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।